সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকী বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। কিন্তু মণিপুর ইস্যুতে সংসদে এখনও বিবৃতি দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পালটা কৌশল হিসাবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিরোধী শিবির। বিরোধী জোট INDIA সুত্রে তেমনটাই খবর।
সুত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ‘স্ট্র্যাটেজি’ বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিরোধী জোটের নেতারা এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। তবে শেষপর্যন্ত অনাস্থা আনা হলে দু’টি সুবিধা হবে বিরোধীদের। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হবেন সংসদে মণিপুর ইসুতে বলতে। আর দ্বিতীয়টি হল, সংসদে কোন কোন দল সত্যি সত্যি বিরোধীদের সঙ্গে আছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ২০০৩ সালে তৎকালীন বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে একইভাবে অনাস্থা এনেছিল কংগ্রেস। সেবারে বাজপেয়ীর সরকার পড়েনি, কিন্তু সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে সামনে রেখে দেশজুড়ে একটি বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এবারেও পরিস্থিতি খানিকটা একইরকম।
[আরও পড়ুন: ৫০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় বিরাট, দ্বিতীয় টেস্টে দাপট রোহিতদের]
মণিপুরে এই অবস্থা কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) জবাব দিতে হবে। এই দাবিতে সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সরব বিরোধীরা। এমনকী সোমবার বিরোধী সাংসদরা ধরনাও দিয়েছেন বহু বিরোধী সাংসদ। কিন্তু তাতেও প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিতে রাজি হননি। তবে সরকারপক্ষ আলোচনায় রাজি, এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই ইস্যুতে সংসদে বলতেও রাজি হয়েছেন। তবে বিরোধীদের সাফ দাবি, বিবৃতি দিতে হবে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। সেটা না হলে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।
[আরও পড়ুন: শিশুর মস্তিষ্ক খেল অ্যামিবা! ভয়ংকর সংক্রমণে প্রাণ হারাল দু’বছরের শিশু]
এদিকে বিরোধীদের পালটা ঘুটি সাজাচ্ছে সরকারপক্ষও। শোনা যাচ্ছে, অমিত শাহের বিবৃতিতে বিরোধীপক্ষ বিক্ষোভ না থামালে তাঁদের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই চলবে সংসদের কাজ। কারণ এই অধিবেশনে অন্তত ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে চায় কেন্দ্র।