shono
Advertisement

বিপাকে মহাকাশে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, মঙ্গলে যাওয়ার টিকিট বেচেও দেউলিয়া

মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর ব্যবসায় নেমে দেউলিয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী সিইও।
Posted: 09:24 PM Feb 13, 2019Updated: 09:24 PM Feb 13, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালগ্রহে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেই এখন দেউলিয়া বাস ল্যান্সডর্প। মহাকাশে যাওয়ার প্রবল উচ্চাশা নিয়ে তাঁর তৈরি করা প্রজেক্ট  ‘মার্স ওয়ান ভেনচার’  পুরোপুরি দেউলিয়া। খবর নিশ্চিত করেছেন ল্যান্সডর্প নিজেই। তারপরও অবশ্য তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই সমস্যা সমাধানের কোনও না কোনও উপায় ঠিক বেরোবে। মার্স ওয়ানের এমন হতশ্রী দশা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

Advertisement

প্রাণঘাতী মেরু ভাল্লুকদের হত্যার আবেদন খারিজ রুশ সরকারের

২০১১ সালের নভেম্বর। মঙ্গল সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে নাসা থেকে পাঠানো হয় মহাকাশযান কিউরিওসিটিকে। দীর্ঘ সময় ধরে কিউরিওসিটি লালগ্রহের মাটি চষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। মঙ্গলে শীর্ণ জলধারার অস্তিত্ব থেকে বাতাসে অক্সিজেনের অস্তিত্ব – প্রতিবেশী গ্রহ সম্পর্কে আশা জাগানোর মত তথ্য সরবরাহ করেছে নাসার এই মহাকাশযান। এসব দেখেই উৎসাহিত হয়ে ওঠেন ডাচ ব্যবসায়ী বাস ল্যান্সডর্প। মঙ্গলে বসতি স্থাপন নিয়ে রীতিমতো বাণিজ্যিক ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। বছর কয়েক আগে তৈরি করে ফেলেন ‘মার্স ওয়ান ভেনচার’ । পৃথিবী থেকে উৎসাহী মানুষজনকে লালগ্রহে পাঠানোর বন্দোবস্ত করবে তাঁর সংস্থা, এভাবেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১০০ জন আগ্রহী নভশ্চরকে দায়িত্ব নিয়ে মঙ্গলে পাঠাবে এই ‘মার্স ওয়ান ভেনচার’ । সেইমতো টিকিট বিক্রিও শুরু হয়। টিকিটের দাম যথারীতি আকাশছোঁয়া। ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। কিন্তু কবে মঙ্গলে যাবেন ১০০ জন অত্যুৎসাহী, তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিশা দিতে পারেননি বাস ল্যান্সডর্প। এমনকী মঙ্গল অভিযাত্রীদের পৃথিবীতে ফেরানোর কোনও দায়িত্ব নিতে চায়নি ‘মার্স ওয়ান ভেনচার’।  তাই ল্যান্সডর্পের এই প্রকল্প নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ফের দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী, ক্ষুব্ধ বেজিং

এবার তাঁর সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা ‘মার্স ওয়ান ভেনচার’  ভেঙে চৌচির হতে চলেছে। সেইসঙ্গে এতগুলো মানুষের স্বপ্ন। ল্যান্সডর্প নিজেই জানিয়েছেন, এনিয়ে দু’বার তাঁর সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর সাফাই, কোনও নন প্রফিটেবল সংস্থা হওয়ায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তবে তাঁর আশা, সমাধানের কোনও উপায় বেরোবেই। আর তারপরই ফের মঙ্গলাভিযান নিয়ে তোড়জোড় শুরু হবে। তবে ইতিমধ্যেই গুচ্ছ গুচ্ছ অর্থ খরচ করে মঙ্গলে যাওয়ার টিকিট কেটে ফেলেছেন যাঁরা, তাঁরা ল্যান্সডর্পের কথায় কোনও আশা দেখছেন না। ভবিষ্যত নভোচরদের মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্ন এ যাত্রায় বোধহয় অপূর্ণই রইল।    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement