সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড টিম ইভেন্টে মনু ভাকেরের সঙ্গে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সরবজ্যোত। ব্রোঞ্জ মেডেলের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ১৬-১০ ফলে হারিয়েছিল ভারতীয় জুটি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় দুজনে একসঙ্গে খুব কম সময়ই ট্রেনিং করার সুযোগ পেয়েছেন। সম্প্রতি সেই কথা ফাঁস করলেন সরবজ্যোত।
অথচ দুজনেই ঠান্ডা মাথায় পদক জিতেছেন। প্রথম শটে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক করেন তাঁরা। সরবজ্যোত বলছেন, "আমার আলাদা ট্রেনিং থাকত ৯টা থেকে। ওর থাকত ১২টা থেকে। মিক্সড সেশনে প্র্যাকটিস করতাম মাত্র ৩০ মিনিট। তার আগে আমরা দুজন আলাদা-আলাদা ট্রেনিং করতাম। ইভেন্ট চলাকালীন আমরা খুব বেশি কথাও বলিনি। শুধু বলতাম, 'নিজেদের ১০০ শতাংশ দিতে হবে। তার বাইরে মজা করতাম। কখনও আমি ওকে নিয়ে মজা করতাম। কখনও-বা ও আমাকে নিয়ে করত।"
[আরও পড়ুন: টেস্ট চলাকালীন বাবা হলেন শাহিন, নবজাতকের জন্য বিশেষ উদযাপন পাক পেসারের]
অলিম্পিকে তাঁদের ইভেন্টে সোনা জিতেছিল সার্বিয়া। কিন্তু মনু-সরবজ্যোত ছাড়াও আরেকজনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি তুরস্কের রুপোজয়ী শুটার ইউসুফ ডিকেচ। চোখে সাদামাটা চশমা, এক হাত পকেটে রেখে ক্যাজুয়ালভাবে দাঁড়িয়ে তাঁর শুটিংয়ে ভঙ্গি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। সরবজ্যোত যদিও এই অলিম্পিকের অনেক আগে থেকেই ডিকেচের 'ভক্ত'। ভারতীয় শুটার বলেন, "আমি ২০১১ থেকে ইউসুফের ভিডিও দেখছি। উনি সব সময়ই এভাবে শুট করতেন। এখন ওঁর বয়স ৫১। কিন্তু আমি চেষ্টা করেও ওঁর মতো নিপুণ হতে পারব না। যদি সুযোগ পাই, তাহলে জিজ্ঞেস করব, আপনি কী খান?"
[আরও পড়ুন: দুঃস্থ শিশুদের জন্য নিলামে বিরাটের জার্সি, ধোনি-রোহিতের ব্যাট, সবচেয়ে বেশি দর উঠল কীসের?]
আপাতত সবরজ্যোতের লক্ষ্য ২০২৮-র লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক। যে কারণে সরকারি চাকরিও ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ মন দেবেন শুটিংয়েই। তিনি বলেন, "লস অ্যাঞ্জেলসে পদকের রং বদলাতেই হবে।" ভারতবাসীও অপেক্ষায় সেটার জন্য।