সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের পথে মেরি কম! জানা যাচ্ছে, স্বামী কারুং ওনলারের সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন ভাঙনের মুখে। তাঁদের প্রেমকাহিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে আলাদা থাকতে শুরু করেছেন তাঁরা। মেরি ও ওনলারের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উঠে আসছে আর্থিক কারণে সমস্যা। এমনকী মেরির জীবনে পরপুরুষের আগমনের খবরও শোনা যাচ্ছে।
২০০০ সালে দিল্লিতে প্রথম আলাপ মেরি ও ওনলারের। শোনা যায়, দুজনের প্রথম সাক্ষাতের আগে মেরির ব্যাগ চুরি গিয়েছিল। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ওনলার। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হতে দেরি হয়নি। ২০০৫ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে যমজ সন্তানের জন্ম দেন মেরি। ২০১২ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে আরও একটি পুত্রসন্তান হয় জনপ্রিয় দম্পতির। একটি দত্তক পুত্রও আছে তাঁদের। তারপর মেরি বক্সিং ছাড়তে চাইলেও, ওনলারই নাকি ক্রমাগত উৎসাহ দিয়েছিলেন।
সেই সম্পর্কই ভাঙতে চলেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, মেরি বর্তমানে চার সন্তানের সঙ্গে ফরিদাবাদে রয়েছেন। অন্যদিকে ওনলার রয়েছেন দিল্লিতে। আর দুজনের মধ্যে সমস্যা প্রায় বছর তিনেক ধরে। যার কারণ হিসেবে উঠে আসছে ২০২২-এ মণিপুর নির্বাচনের কথা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছেন, "মণিপুর নির্বাচনে ওনলারের হারে প্রায় ২-৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। এই বিষয়ে মেরি বেশ অখুশি হয়েছিল। ওনলার প্রথমে ভোটে লড়তে চাননি। কিন্তু মেরিই একপ্রকার জোর করেছিলেন।"
তবে এখানেই সমস্যার শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, মেরির জীবনে অন্য এক পুরুষের আগমন ঘটেছে। তিনি আবার অন্য এক বক্সারের স্বামী। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একের পর এক ছবিও দিচ্ছেন। সেটা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। ওই সূত্র আরও জানাচ্ছেন, "নিজের ফুটবল কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে ওনলার মেরি ও সন্তানদের জন্য সর্বস্ব দিয়েছিল। ও কীভাবে সমর্থন জুগিয়েছিল, সেটা সবাই জানে। এখন ও সন্তানদের কাছে যেতেও পারছে না। গোটা ঘটনায় ওনলার ভেঙে পড়েছে।"