সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশকের প্রথম বাজেটের আগের সর্বদল বৈঠকে দেশের আর্থিক স্থিতি, সংসদ অধিবেশনের গতিপ্রকৃতির মতো বিষয়ের থেকেও বেশি গুরুত্ব পেল কৃষি আইন। যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাজেট অধিবেশনের আগের রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে ফেলেছে শাসকদল। সমস্যা না মিটলে যে সংসদের অধিবেশন চলাকালীনও ব্যাপক গণ্ডগোলের সম্ভাবনা আছে, সেটা বলাই বাহুল্য। সেই পরিস্থিতি তৈরি হোক কেন্দ্র কোনওভাবেই চাইছে না। সম্ভবত সেকারণেই বাজেটের আগের সর্বদল বৈঠকে কৃষি আইন (Farmers Protest) ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করার সবরকম প্রচেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিলেন, কৃষকরা চাইলে এখনও তাঁর সরকার এই বিতর্কিত আইন সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখতে রাজি আছে।
বাজেট পেশের আগে প্রথা মেনেই সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কৃষক বিক্ষোভ। বিরোধী সাংসদদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমরা কৃষকদের এই আইন স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনও আছে। আমার সরকার এখনও ১৮ মাসের জন্য এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তুত।” মোদি জানান, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) এখনও কৃষকদের ফোনের অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমরা কৃষকদের এও বলেছি যে, আইন প্রত্যাহার ছাড়া বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকলে, আপনারাও সেই প্রস্তাব রাখতে পারেন।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় হট্টগোলের মধ্যে বিল পাশ করতে চাপ দিতেন মোদি! বিস্ফোরক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি]
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের আগে ২০টি বিরোধী দল একযোগে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করলেও, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে কমবেশি সব দলই উপস্থিত ছিল। কংগ্রেসের (Congress) তরফে গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিব সেনার তরফে বিনায়ক রাউত এবং অকালি দলের তরফে বলবিন্দর সিং বৈঠকে বক্তব্য রাখারও সুযোগ পান। উপস্থিত ছিলেন অন্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও। তৃণমূল-সহ বিরোধীরা অবশ্য এই তিনটি আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও সমাধানই মানতে রাজি নন।