সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে নয় নয় করে এখনও দিন কুড়ি বাকি। ফলাফল প্রকাশে আরও ৩ দিন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তিন সপ্তাহের বেশি সময় এখনও হাতে। অথচ এখন থেকেই কর্ণাটকে ‘ঘর ভাঙা’ নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেসের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতাদের আশঙ্কা ভোটের পর তাঁদের বিধায়ক ‘চুরি’ হতে পারে।
দিন কয়েক আগে কর্ণাটকের এক সভায় রাহুল বলছিলেন, কর্ণাটক (Karnataka) আমরা জিতবই কিন্তু আমাদের অন্তত ১৫০ আসন পেতে হবে। নাহলে দুর্নীতির টাকায় ওরা আমাদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আবার শনিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) বলে দিয়েছেন, আমাদের কর্ণাটকে প্রচুর আসন পেতে হবে। নাহলে বিজেপি আমাদের বিধায়কদের ‘চুরি’ করে নিতে পারে।
[আরও পড়ুন: যৌনতা আর গোপনীয়তায় ভরা মুঘল হারেম, কেমন ছিল সেই বন্দিনীদের জীবন?]
কংগ্রেস সূত্রের দাবি, কর্ণাটক জয়ের ব্যাপারে দল ভালমতোই আত্মবিশ্বাসী। একাধিক জনমত সমীক্ষাও ইঙ্গিত করেছে দক্ষিণের রাজ্যে এবার ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির। আবার ভোটের আগে সেরাজ্যে একের পর এক বিজেপি নেতার দলত্যাগ এবং কংগ্রেসে যোগও বিজেপির জন্য সুইঙ্গিত নয়। আসলে রাজনীতির তথাকথিত হাওয়া-মোরগরা এবার ঝুঁকছেন কংগ্রেসের (Congress) দিকে।
[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা দিয়ে মুরগির দোকানের আবর্জনা পরিষ্কার, ভাইরাল ভিডিও, গ্রেপ্তার যুবক]
অথচ, এত কিছু সত্ত্বেও হাত শিবির যেন নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত একের পর এক বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এমনকী কংগ্রেসের নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যার শুরুটা আবার হয়েছে এই কর্ণাটক থেকেই। তাছাড়া এই কর্ণাটকে এর আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও চারবার সরকার গড়ার নজির রয়েছে বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই হাত শিবির চাইছে বেশি সংখ্যক আসন জিতে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যেতে যেখান থেকে বিজেপির পক্ষে সরকার ফেলে দেওয়া অসম্ভব। ২২৪ আসনের মধ্যে সেই সংখ্যাটা অন্তত ১৫০ হোক চাইছে হাত শিবির।