সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে একাধিক ভ্যাকসিন। তবে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আবার নতুন করে বিতর্কে জড়াল ফাইজারের (Pfizer) টিকা। ইজরায়েলে (Israel) এক লক্ষ ৯০ হাজার মানুষকে এখনও পর্যন্ত করোনার এই টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা নেওয়ার পরই প্রায় ১২ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ইজরায়েলে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকেই ছাড়পত্র দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে গোটা দেশের এক-চতুর্থাংশ জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩.৫ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হয়েছে। এরপর যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তারপরই দেখা যায়, অন্তত ১২ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছেন। যা নিয়ে সেদেশে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: উইঘুর মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, চিনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করল টুইটার]
তবে এই প্রথম নয়, ফাইজারের টিকা নিয়ে এর আগেও একাধিক বিতর্কিত খবর সামনে এসেছে। ইজরায়েলেই ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে ১৩ জনের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়েছিল। এছাড়া নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয় ২৯ জনের। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৩ জন। মৃতদের সকলেরই বয়স ছিল আশির উপরে। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, ৮০-র বেশি বয়সে টিকা নেওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কার্যকারিতা কম। এতে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কথাও সরকারিভাবে মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে যে ছ’জনের মৃত্য হয়েছে, তাঁদের বয়স ৭৫-এর ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ এই বয়সও যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত নয়, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির (NMA) তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সে দেশে শুধুমাত্র ফাইজার/বায়ো এনটেকের টিকাই দেওয়া হচ্ছে, তাই মৃত্যুগুলির জন্য কাঠগড়ায় উঠবে এই ভ্যাকসিনই। তারা এও জানায়, ইতিমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরও ১৬ জন কেন মারা গেলেন, তারও কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে।