অর্ণব আইচ: মাদক দমনে বড়সড় সাফল্য ফেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ভুবনেশ্বর শাখা। গোপন সুত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হল ১৫৯৮ কেজি গাঁজা। ওড়িশা পুলিশ এবং ভুবনেশ্বর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর যৌথ অভিযানে মিলল সাফল্য। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মালকানগিরির বালিমেলা চক এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। নকশাল অধ্যূষিত এলাকা দিয়ে একটি লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল গাঁজা। হাতে নাতে দুই পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪ টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮০০ কেজি অশোধিত লবনও।
[লাগামছাড়া জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ৮০ টাকা ছাড়াল শহরে পেট্রলের দাম]
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের সনাক্তও করা হয়েছে। দুজনেই অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ভেঙ্কটসরেলু এবং চান্তি সুরেশ নামে ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্যও পেয়েছে এনসিবি। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, বিশাখাপত্তনমের আশেপাশের এলাকা থেকে নাসিকের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই মাদকদ্রব্য। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
[নাগরাকোটা হামলায় স্পষ্ট জইশ যোগ, এনআইএ-র রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
অভিযান শুরু হয় গত ২৫ মে। অন্ধ্র-ওড়িশা সীমান্তবর্তী বালিমেলা এলাকায় গভীর জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। নকশাল অধ্যূষিত এই এলাকাটি অতি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। স্বাভাবিকভাই এই অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্তবর্তী বালিমেলা এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি গাঁজা এবং আফিম চাষ হত। এবার এই এলাকাটিকে মাদক পাচারের পথ হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করল পাচারকারীরা। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে এত বড় সাফল্য পেয়েছিল এনসিবি। কোরাপুট জেলা থেকে ২০৩৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল এনসিবির ভুবনেশ্বর শাখা। মালকানগিরি অঞ্চল থেকেই ওই বিশাল পরিমাণ গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিস। কয়েক মাসের ব্যবধানে জোড়া সাফল্যের পর ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্তে দিয়ে মাদক পাচার বন্ধ হওয়ার ব্যপারে আশাবাদী প্রশাসন। আগামিদিনে মালকানগিরিতে নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
The post মাও অধ্যূষিত এলাকায় উদ্ধার প্রায় ১৬০০ কেজি গাঁজা, বড় সাফল্য এনসিবির appeared first on Sangbad Pratidin.