সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর (Pandemic) চোখরাঙানিকে দূরে সরিয়ে কোভিড (COVID-19) যুদ্ধে জিততে বদ্ধপরিকর ভারত। গত সপ্তাহের শনিবার থেকে দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। মাত্র ৯ দিনেই ভ্যাকসিন (COVID vaccine) দেওয়া হয়েছে ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষকে। টিকাকরণের গতিতে ভারত পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকাকেও। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ৫টি রাজ্যে ৩১ হাজার ৪৬৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১৬ লক্ষের গণ্ডি।
এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি টিকাকরণ হয়েছে কর্ণাটকে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ মানুষ সেখানে করোনার টিকা পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য সংখ্যাটা এখনও ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়ায়নি। রবিবাসরীয় হিসেব বলছে সন্ধে পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ৮৪ হাজার ৫০৫ জনকে। প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বের মধ্যে ব্রিটেনেই প্রথম করোনার টিকাকরণ শুরু হয়। পরে আমেরিকা-সহ আরও বহু দেশই জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে। ভারতে কেন এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে তোপ দাগতে থাকে বিরোধীরা। অবশেষে কেন্দ্রের তরফে দু’টি টিকাকে অনুমতি দেওয়া হলে দ্রুত ড্রাই রান শুরু হয়। তারপর গত ১৬ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় টিকাকরণ। আপাতত সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার কাজে নেমেছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন : ডিজিটাল হচ্ছে ভোটার কার্ড, সোমবার থেকে ডাউনলোড করা যাবে বাড়িতে বসেই, জানুন কীভাবে]
যদিও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুতে অনেকের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে টিকাকরণকে কেন্দ্র করে। আজও মৃত্যু হয়েছে তেলেঙ্গানার এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর। গত ১৯ জানুয়ারি তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা পরীক্ষা করে দেখবে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে এপর্যন্ত যে ক’জনের মৃত্যু হয়েছে সকলের ক্ষেত্রেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টিকাকরণের কারণে এঁদের কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু স্বাস্থ্যকর্মীই আতঙ্কে ভুগছেন। কেবল বেঙ্গালুরুতেই (Bengaluru) অন্তত কুড়িজন স্বাস্থ্যকর্মীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন না নিয়েও নেওয়ার ভুয়ো দাবি করেছে বলে অভিযোগ।