সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বাড়ছে ‘লাম্পি স্কিন’ (Lumpy Skin) রোগের দাপট। গরুর মড়কে জেরবার গুজরাট (Gujarat) থেকে রাজস্থান (Rajasthan)। এই বিরল চর্মরোগে দুই রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি গরুর। আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে দুই রাজ্য এবার রেড অ্যালার্ট জারি করল।
একদিকে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর (African Swine Fever) রুখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত্যা করা হচ্ছে শূকরদের (Pig)। এর মধ্যেই একাধিক রাজ্যে গরুর মড়ক (Death of Cow) নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। আগেই জানা গিয়েছিল গুজরাটে ৫০ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু ‘লম্পি স্কিনে’ আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যের ২০টি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পড়শি রাজ্য রাজস্থানের অবস্থাও ভাল নয়। জানা গিয়েছে সেখানে ৯টি জেলায় আক্রান্ত গবাদি পশুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন পশুর মালিকরা। যাদের অধিকাংশই কৃষক। যদিও ভাইরাস রুখতে টিকাকারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গুজরাটে ৮ লাখ গরুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে সরকার। রাজস্থানেও টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে বিলম্ব, চলতি বছরে হচ্ছে না কাশ্মীরের নির্বাচন!]
বর্তমান পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। গবাদি পশুর মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞানী এবং পশুচিকিৎসকদের একটি দলকে রাজস্থানের যোধপুর এবং নাগৌর শহরে পাঠিয়েছে মোদি সরকার। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভুক্তভোগীরা লাম্পি স্কিন রোগটি সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। এখানে জেনে নেওয়া যাক লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ ও তা থেকে প্রতিকারের উপায়।
রোগের লক্ষণ: পশু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লাম্পি স্কিন মশা এবং দূষিত জল ও খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গবাদি পশুর মধ্যে। এই রোগে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, নাক-চোখ থেকে জল গড়াতে থাকে পশুর। এছাড়াও জ্বর, সারা শরীরে ফোসকা পড়ার মতো দাগ দেখা দেয়। খেতে অসুবিধা হয় গবাদি পশুর। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে আফ্রিকার একাধিক দেশে লাম্পি স্কিন ভাইরাসের দাপটে গবাদি পশুর মড়ক ছড়ায়। মৃত্যু হয় হাজার হাজার গরু-মোষের। ২০১৯ সালের পর থেকে মধ্য প্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে এই সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: পাক জঙ্গিদের ‘ঢাল’ চিন! রাষ্ট্রসংঘে বেজিংয়ের দ্বিচারিতা নিয়ে তোপ ভারতের]
লাম্পি স্কিনের প্রতিকার: বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লাম্পি স্কিন রুখতে রোগ চিহ্নিত করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এছাড়াও গবাদি পশুকে টিকা দেওয়ার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে। পাশাপাশি গোয়ালঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এইসঙ্গে লাম্পি স্কিনে সংক্রামিত পশুকে সুস্থ পশুদের থেকে আলাদা ভাবে রাখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।