সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর থেকে ৫ হাজারের বেশি গৃহহীন আশ্রয় নিলেন নাগাল্যান্ডে। তিন মাস ধরে চলতে থাকা জাতি দাঙ্গার আঁচ এসে লাগছে পড়শি রাজ্যগুলোতেও। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বেড়ে চলেছে শরণার্থীর সংখ্যা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুর থেকে যাঁরা নাগাল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই কুকি সম্প্রদায়ের। কিন্তু সেখানে তাঁদের জন্য কোনও ত্রাণ শিবির নেই। শরণার্থীরা ডিমাপুরের কাছে একটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অঞ্চলেই মূলত নাগাল্যান্ডের কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।
[আরও পড়ুন: ‘মহাভারতেও ছিল লাভ জেহাদ’, অসমের কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, হুঁশিয়ারি হিমন্তর]
পড়শি রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া এক শরণার্থী জানিয়েছেন, “মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য আমরা এখানে পালিয়ে এসেছি। ওখানে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। এখনও পর্যন্ত জানি না ওখানে আমাদের বাড়ির কী অবস্থা। মনে হয় ওঁরা আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে মেতেই-কুকি হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। মেতেইদের উপজাতি তকমা না দেওয়ার দাবিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘাত তৈরি হয় যা জাতি দাঙ্গার আকার নেয়। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দেড়শোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। হিংসা থামাতে ব্যর্থ সরকার। বিপন্ন সেখানকার জনজীবন। তাই প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ভিড় করছেন পড়শি রাজ্যে। অসম, মিজোরামের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। এবার শরণার্থী চাপ বাড়ছে নাগাল্যান্ডেও।