সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’দিনে মায়ানমার থেকে অগ্নিগর্ভ মণিপুরে অনুপ্রবেশ ৭০০ জনের! এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিংয়ের সরকার।অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত বের করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অসম রাইফেলসকে।
জানা গিয়েছে, বৈধ নথি ছাড়াই মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে ঢুকেছে ৭১৮ জন। ওই অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে চান্দেল জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে রিপোর্ট দিয়েছে অসম রাইফেলস। ওই ৭১৮ জনের মধ্যে ৩০১ জন শিশুও রয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে মণিপুরের মুখ্য সচিব বিনীত জোশী জানিয়েছেন, “আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখন থেকেই অসম রাইফেলসকে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকাতে তারা যেন কঠোর পদক্ষেপ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশানুসারে মণিপুরে বৈধ ভিসা বা নথিপত্র না ছাড়া কেউ প্রবেশ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
[আরও পড়ুন: অচেতন ব্যক্তির উপর প্রস্রাব, মাথায় লাথি! ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর যোগীরাজ্যের পুলিশ]
জানা গিয়েছে, গত ২৩ জুলাই ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে চান্দেল জেলা হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করে ৭১৮ জন। অভিযোগ, তাঁদের কাছে এ দেশে আসার বৈধ নথি ছিল না। এই ঘটনার পরই মণিপুর সরকার অসম রাইফেলসের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়, বৈধ নথি ছাড়া কীভাবে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করল? কেনই বা তাঁদের অনুমতি দেওয়া হল? একই সঙ্গে অসম রাইফেলসকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, মণিপুরে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২৫টি কুকি জঙ্গি গোষ্ঠী। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে চিন ও আইএসআই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আটশোরও বেশি অত্যাধুনিক রাইফেল ও এগারো হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, পাহাড়ে রয়েছে মাদকচক্রের ঘাঁটি। মায়ানমার হয়ে সেই মাদক পৌঁছে যায় গোটা বিশ্বে।