সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের সমালোচনায় পহেলাজ নিহালানি। তাঁর মতে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০১১ সালে অমিতাভ বচ্চন যখন এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন তারপর থেকেই এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান তার গ্রহণযোগ্যাতা হারিয়ে ফেলেছে বলেই মত তাঁর।
[বয়সে ছোট প্রেমিকই পছন্দ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের!]
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এ বছরের নমিনেশন লিস্ট নিয়ে। এমনকী এই নমিনেশনকে একধরনের দ্বিচারিতা আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন কেন মনোয়নের তালিকায় রাখা হয়নি ‘দঙ্গল’-এর জন্য আমির খানের নাম অথবা ‘রুস্তম’ বা ‘এয়ারলিফট’ ছবির জন্য অক্ষয় কুমারের নাম? সপ্তাহান্তে আইফার বিলাসবহুল পার্টিতে শামিল হয়ে তামাশা করতে পারবেন না বলেই কি বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম!
[জানেন, কেন করণ-সইফদের কটাক্ষের শিকার হতে হল কঙ্গনাকে?]
তিনি আরও বলেছেন, আইফার জন্য বলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী নিউইয়র্কে উপস্থিত হলেও মূল অনুষ্ঠানে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। সারারাত পার্টি করে ক্লান্ত সেইসব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। কোথা থেকে আসছে এত টাকা, সে দিকেও আঙুল তুলেছেন সিবিএফসি প্রধান। এক অর্থে ভারতীয় অর্থের অপচয় করা হচ্ছে এইসব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের নামে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। শুধু সেলিব্রিটি নয়, তাঁদের পরিবারের পাশাপাশি তাঁদের বডিগার্ডদেরও সমস্ত খরচ বহন করে আয়োজকরা। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয ছবিকে বিদেশে বিক্রিও করে আয়োজকরা এবং তা থেকে একটা বেশ ভালরকমের লাভের অঙ্ক নিজেদের ঘরে তোলেন। দেখতে দেখতে ১৮ বছর পার করে ফেলল এই অনুষ্ঠান, কিন্তু তাতে কোনও উন্নতিই হয়নি ভারতীয় চলচ্চিত্রের। এমনকী এই মঞ্চে অনেক বয়স্ক ব্যক্তিকে নিয়ে মজাও করা হয়ে থাকে, যা একদমই অবাঞ্ছনীয়।
[জ্যাকলিনের এই পোল ডান্সেই এখন মজেছে নেটদুনিয়া]
নিহালানির দাবি, এই অনুষ্ঠান কোনওভাবেই ভারতীয় ছবিকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে পারেনি। এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র বলিউডের ছবির মধ্যেই আবদ্ধ। আর ভারতীয় ছবি মানে শুধু বলিউড নয়। প্রথমের দিকে বিভিন্ন প্রাদেশিক ছবি জায়গা করে নিলেও এখন শুধুমাত্র বলিউডের ছবিই প্রাধান্য পেয়ে থাকে এই মঞ্চে, এমনটাই মনে করেন সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সার্টিফিকেশনের প্রধান।
The post আমির-অক্ষয় নেই, তাই এবার সেন্সর প্রধানের কোপে IIFA appeared first on Sangbad Pratidin.