সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। সমস্যা আরও যাতে না বাড়ে তার জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা এফএটিএফের রোষানল থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে পড়েছে তারা। আর এই কারণে বারবার বিচারের নামে প্রহসন করছে! তার প্রমাণ পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার। ফের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে আর্থিক মদতের দায়ে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba) প্রধান হাফিজ সইদকে ১৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল পাকিস্তানের একটি আদালত। এবছর এই ধরনের যে চারটি মামলায় হাফিজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে এটাতেই সবথেকে বেশি সাজা ঘোষণা করা হল। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা আদালত কক্ষের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ভিতরে সংবাদমাধ্যমেরও প্রবেশাধিকার ছিল না।
এপ্রসঙ্গে লাহোর আদালতের এক আধিকারিক জানান, বৃহস্পতিবার লাহোরের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত লস্কর-ই-তইবা ওরফে জামাত-উদ-দাওয়ার (Jamaat-ud-Dawah) প্রধান হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)-সহ পাঁচ নেতাকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাদের প্রত্যেককে সাড়ে ১৫ বছরের জেলে সাজা দিয়েছেন বিচারক। হাফিজ ছাড়া বাকিরা হল, জামাত-উদ-দাওয়ার মুখপাত্র ইয়ায়া মুজাহিদ, জাফর ইকবাল, হাফিজ আবদুস সালাম ও মহম্মদ আসরাফ। এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি হাফিজ সইদের শ্যালক আবদুল রহমান মাক্কিকে ৬ মাসের জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ২ লক্ষ পাকিস্তানি টাকাও।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ টানাপোড়েনের অবসান, কাটল ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির জট]
এর আগে গত নভেম্বর মাসেও সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতের দুটি ভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল লস্কর প্রধান। এর জেরে তাকে পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়। তারপর থেকে লাহোরের লাখপত জেলেই থাকার কথা হাফিজ সইদের। যদিও সূত্রের খবর, ৭০ বছরের হাফিজকে বিশ্বের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য জেলের সাজা দেওয়া হলেও আদতে সে নিজের বাড়িতে বহাল তবিয়তেই রয়েছে।