সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক (Pakistan) সরকারের সমালোচনার ‘অপরাধ’। বন্ধ করে দেওয়া হল পাকিস্তানের অন্যতম বড় বেসরকারি টিভি চ্যানেল এআরওয়াই নিউজ। সেই সঙ্গে করাচি থেকে গ্রেপ্তার করা হল সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক আম্মদ ইউসুফকে। চ্যানেলটির তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই করাচির বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে? তাদের ‘অপরাধ’ পাক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। পাশাপাশি দেশবিরোধী প্রতিবেদন সম্প্রচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী বিভাগ PEMRA একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ওই চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল কারণ তারা ‘আপত্তিকর, ঘৃণা উদ্রেককারী, দেশদ্রোহী তথ্য পরিবেশন করছে।’ সরকারের দাবি, ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে ওই চ্যানেলটি। যার ফলে দেশের নিরাপত্তাই ভঙ্গ হচ্ছে। কেবল আম্মদ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করাই নয়, চ্যানেলের সিইওকে বুধবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গুজরাট-রাজস্থানে লাম্পি স্কিন রোগে মৃত্যু ৩ হাজারেরও বেশি গরুর, জারি রেড অ্যালার্ট]
গত মঙ্গলবার থেকেই ওই চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। যদিও পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এখনও ওই চ্যানেলটি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে দেশের বেশির ভাগ কেবল টিভি অপারেটরই জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিতে তাঁরা ওই চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, বরাবরই ইমরান খানকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে এআরওয়াই চ্যানেলকে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই নয়া সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ উগরে চলেছেন। তাঁকে সমর্থন দেখানোর কারণেই ওই চ্যানেলটিকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হল বলেই মত ইমরানে। তিনি টুইটারে ইউসুফের গ্রেপ্তারি নিয়ে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা গ্রেপ্তারি নয়, অপহরণ। কোনও গণতন্ত্রে কি এমন লজ্জাজনক পদক্ষেপ করা হয়? রাজনৈতিক কর্মীদের শত্রু হিসেবে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-এর কাছে পাকিস্তানের সাংবাদিক সংগঠনের চেয়ারম্যান ইস্তিয়াক আলির দাবি, নিষিদ্ধ করার পরে ফের চালুও করে দেওয়া হয় ওই চ্যানেলটি। পাশাপাশি চ্যানেলটির ভাইস চেয়ারম্যান আম্মদ ইউসুফকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।