shono
Advertisement

Breaking News

উরিতে জঙ্গিদের সাহায্যে ‘কভার ফায়ার’ পাক সেনার, চাঞ্চল্যকর বিবৃতি ভারতীয় বাহিনীর

ভারতীয় কপ্টার লক্ষ্য করেও গুলি চালায় পাক সেনা।
Posted: 08:15 PM Sep 16, 2023Updated: 10:43 PM Sep 16, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অনন্তনাগে চতুর্থ দিনেও চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। শনিবার ভোরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হাতলাঙ্গা নালা দিয়ে উরিতে ঢোকার চেষ্টা করছিল তিন জঙ্গি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এনকাউন্টারে খতম হয় তিন জঙ্গি। শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সেনার তরফে জানানো হল, উরিতে তল্লাশি অভিযানের সময় জঙ্গিদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনার উপরে গুলি চালায় পাক সেনা (Pakistan Army)। ভারতীয় বাহিনীর কপ্টার লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়।

Advertisement

সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার পিএমএস ধিলো জানান, হাতলাঙ্গা নালা দিয়ে উরিতে ঢোকার চেষ্টা করছিল তিন থেকে চারজন জঙ্গি। ওই সময় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদীদের রুখতে সেনাবাহিনী রকেট লঞ্চার-সহ বেশ কিছু ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। ওই সময় তিন জঙ্গি নিহত হলেও চতুর্থজন আহত হয়। পাক সেনার কভারিং ফায়ারের সাহায্য পেয়ে সে পালাতে সক্ষম হয়।” ধিলো বলেন, “পাক বাহিনী আহত সন্ত্রাসবাদীকে ‘ফায়ার সাপোর্ট’ দিয়েছিল। আমাদের দিকেও গুলি চালায়। পাকিস্তানি সেনা আমাদের কোয়াডকপ্টারগুলিতেও গুলি চালায়।”

[আরও পড়ুন: তিন মাসে ১৭৯ শিশুর মৃত্যু, চরম অব্যবস্থা মহারাষ্ট্রের জেলা হাসপাতালে, কাঠগড়ায় সরকার]

আগেই কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছিল, “উরি সংলগ্ন বারামুলা জেলার হাথলাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও বারামুলা পুলিশের যৌথ এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছে জঙ্গিরা। তারা সীমান্তের ওপার থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র পাচার করত। ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।” জেহাদিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে।

[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা খোদ ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রীর, আশঙ্কায় কাঁপছে কংগ্রেস]

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত থেকে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অনন্তনাগে লুকিয়ে থাকা লস্কর জঙ্গিদের লড়াই চলছে। জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তারক্ষীদের যৌথ বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গিদের গুলিতে তিন আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা দেয় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। তাদের একটি শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট জানিয়েছে, চলতি মাসেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাদের সংগঠনের এক নেতা খুন হন। তার প্রতিশোধ নিতেই হামলা হয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement