সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি আইপিএল প্রায় শেষের দিকে এসে পৌঁছেছে। প্লে অফে কারা খেলবে তা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যেই জানা গেল, পাকিস্তান থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের আইপিএলে বেটিং করা হত। দেশজুড়়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
আইপিএলে (IPL) বেটিং চক্রের রমরমা নতুন কোনও ঘটনা হয়। প্রতিবারই ছোট খাটো নানা অভিযোগ আসে। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার- শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চাণ্ডিলা ও অঙ্কিত চৌহান। তবে আইপিএলে পাক যোগের ঘটনা স্মরণকালের মধ্যে কিন্তু সামনে আসেনি। পাক মুলুক থেকে তথ্য দেওয়া হত। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মেগাটুর্নামেন্টের একাধিক ম্যাচে বেটিং করা হত। একথা বেরিয়ে এসেছে সিবিআইয়ের তদন্তেই। শনিবার তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই তিন ব্যক্তি বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে দু’ জন হায়দরাবাদের। এক জন দিল্লির। এই বুকিদের মাধ্যমেই ২০১৯ সালের আইপিএলের একাধিক ম্যাচে বেটিং করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: জয় ছাড়া উপায় নেই, প্লে-অফের ক্ষীণ আশা নিয়ে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামছে নাইটরা]
দেশজুড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তাদের কাছে খবর এসেছিল বেশ কয়েকজন মিলে বেটিংয়ের একটি চক্র তৈরি করেছিল। এই তিন বুকি জাল পরিচয়পত্র এবং কেওয়াইসি দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, যে তিন ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে তাদের আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের এক ব্যক্তির সঙ্গে সেই তিন ব্যক্তি যোগাযোগ রাখত বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আইপিএলে বেটিং চক্র সেই ২০১৩ সাল থেকেই কাজ করছে। আইপিএলের ভক্ত এবং সাধারণ মানুষদের আইপিএলের বিভিন্ন ম্যাচে টাকা দিতে তারা প্রভাবিত করত।
উল্লেখ্য, যে আইপিএল নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেই আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবারের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১ রানে হারায় চেন্নাই সুপার কিংসকে।