সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) পথেই কি এগোচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)? তেমনই দাবি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বালানি সংকটে জেরবার ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে ইমরানের আশঙ্কা, আর বেশি দেরি নেই। এবার শ্রীলঙ্কার মতোই পাকিস্তানের রাজপথেও প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামল বলে। এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে দেশের সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ করতে চাইছে পাক সরকার। শনিবারই এই সংক্রান্ত নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ হয়েছে।
এই নয়া অর্ডিন্যান্সের ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সম্পত্তিকে বিদেশে বিক্রি করার সময় কেউ তার প্রতিবাদে কোনও পিটিশন দাখিল করলেও আদালত সেটাকে গ্রাহ্য করবে না। আপাতত ২ বিলিয়ন থেকে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার ও সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আরব সংযুক্ত আমিরশাহীকে বিক্রি করে বিদেশি মুদ্রা বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। আর তার আগেই আনা হল এই পরিবর্তন।
[আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি সফল করতে উদ্যোগ, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র]
গত মে মাসেই আরব দেশটি জানিয়ে দিয়েছিল, পুরনো ঋণ শোধ করতে অপারগ পাকিস্তানকে তার আর কোনও রকম অর্থসাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ শোধ করতে দেশীয় সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ ছাড়া কার্যত আর উপায় নেই পাকিস্তানের।
এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান মনে করছেন, আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের ‘মাফিয়া’রা তাদের অবৈধ সম্পত্তি বাঁচাতে তিন মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ”নিশ্চিত করেই এটা বলতে পারি যে, আমার ‘হাকিকি আজাদি’র আহ্বানে সাড়া দেবে পাকিস্তানের জনতা। এই মাফিয়াদের এভাবে লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবে না ওরা।”
বলে রাখা ভাল, করোনা মহামারীর জেরে পাক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ‘ট্রেড ডেফিসিট’ অর্থাৎ রপ্তানির তুলনায় আমদানি বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের চাইতে বেশি দাঁড়িয়েছে। তার উপর রাজনৈতিক ডামাডোলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তান কার্যত দেউলিয়া।