সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদের রাজপথে নেমেছিল লক্ষ লক্ষ সমর্থক। জানা যায়, ইসলামাবাদের ডি চকের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের হামলায় মৃত্যু হয় ৬ নিরাপত্তারক্ষীর। অবশেষে সেনার বন্দুকের নলে সেই বিক্ষোভ দমন করল শাহবাজ শরিফের সরকার। এই ঘটনায় কয়েক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তাঁর বোন।
ইসলামাবাদের জেলে বন্দি অবস্থাতেই রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রিয় নেতার কারামুক্তির দাবিতে গত রবিবার থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তান। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলনে সংঘর্ষে ৬ জন সেনার মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামাবাদের রাস্তায় সেনা মোতায়েন করে পাকিস্তান। দেখামাত্রই গুলি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রাতভর অভিযান চালায় সেনা। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে চলে গুলি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ইসলামাবাদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রচুর গুলির খোল। এর পরই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় ইমরানের দল 'পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ' (PTI)।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, 'যতদিন না ইমরান জেলমুক্ত হচ্ছেন ততদিন এই আন্দোলন চলবে।' তবে বিক্ষোভ দমনে সেনা মাঠে নামতেই বুধবার আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে পিটিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, 'সরকার আন্দোলন দমন করতে ভয়াবহ হিংসার আশ্রয় নিয়েছে। নৃশংস শাহবাজ সরকার ফ্যাসিবাদী সেনা শাসনের মাধ্যমে পাকিস্তানে নরসংহারের চেষ্টা চালিয়েছে। দেশজুড়ে নৃশংস হত্যালীলা চলছে।' অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সরকারের কঠোর দমননীতির মাঝেই অপহৃত হয়েছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি।
বুশরার বোন মারিয়ম রিয়াজ ভুট্টো এক ভিডিও বার্তায় জানান, বুশরা বিবি গত রাতে মানশোরায় ছিলেন। সেখান থেকে সকালে রাজধানী ফিরছিলেন তিনি। তার পর থেকে এখনও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শাহবাজ সরকারের দিকে আঙুল তুলে ভিডিওবার্তায় মারিয়ম বলেন, আমার বোন কোথায় তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। অনুমান করা হচ্ছে, রাস্তাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পাক পুলিশ।