সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেন্নাইয়ে প্রথমবারের মতো দাবা অলিম্পিয়াডের (Chess Olympiad) আসর বসেছে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা থেকে আচমকাই নাম প্রত্যাহার করে নিল পাকিস্তান (Pakistan)। কারণ হিসাবে সেদেশের তরফ থেকে জানানো হল, অলিম্পিয়াডের মশাল কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার গায়ে রাজনৈতিক রঙ লাগানো হয়েছে। পাকিস্তানের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত।
দাবা অলিম্পিয়াডের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাকিস্তানি দাবাড়ুরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না তারা। কাশ্মীরে অলিম্পিয়াডের মশাল নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই শ্রীনগরে পৌঁছেছিল অলিম্পিয়াডের মশাল। তার কিছুদিন পরেও পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছিল, দশ সদস্যের দল পাঠানো হবে দাবা অলিম্পিয়াডে। কিন্তু তার দু’দিন পরেই নিজেদের অবস্থান সম্পূর্ণ পালটে ফেলে তারা।
[আরও পড়ুন: মোহনবাগান ছাড়লেন সন্দেশ, কোথায় যাচ্ছেন ডিফেন্ডার?]
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, “খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার মতো খারাপ কাজ করেছে ভারত (India)। পাকিস্তান এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না পাকিস্তান। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশনের কাছেও এই বিষয় তুলে ধরে সুবিচার চাওয়া হবে।” বিবৃতিতে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর অঞ্চলকে ‘বিতর্কিত’ বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেই অঞ্চলে মশাল পাঠিয়ে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে ভারত। এহেন আচরণ বরদাস্ত করতে পারে না আন্তর্জাতিক মহল।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে পালটা দিয়ে বলা হয়েছে, এইভাবে প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “ভারতে পৌঁছে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি দাবাড়ুরা। তারপরে প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া খুবই আশ্চর্যজনক। কাশ্মীর এবং লাদাখ বরাবরই ভারতের অংশ। খেলার মধ্যে অহেতুক রাজনীতি টেনে আনছে পাকিস্তান। এই ভাবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”