সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকমাস আগে ইসলামিক দেশগুলির সম্মেলনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু, তাতে সাড়া দেয়নি সৌদি আরব। এর জেরে সৌদির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। যার ফলে পাকিস্তানকে সবরকম সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে পাওনা টাকা ফেরত চায় রিয়াধ। এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে ইসলামাবাদকে মুসলিম দেশগুলিকে নিয়ে আলাদা একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা বানানোর পরামর্শ দেয় বেজিং। তারপর থেকেই তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম দুনিয়ায় নতুন জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এবার ইসলামাবাদ থেকে তেহরান হয়ে ইস্তানবুল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তানবুলে ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (ECO)-এর পরিবহণ ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভাগের ১০তম বৈঠক ছিল। তাতে যোগ দিয়ে ইস্তানবুল-তেহরান-ইসালামাবাদ (ITI) পণ্যবাহী ট্রেন চলানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইরানের পরিবহণ মন্ত্রীরা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ইরান হয়ে তুরস্ক পর্যন্ত মোট সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার রেললাইন পাতা হবে। এর মধ্যে ইরানে ২৬০০ কিলোমিটার, তুরস্কে ১৯৫০ কিলোমিটার ও পাকিস্তানে ১৯৯০ কিলোমিটার।
[আরও পড়ুন: ওলি-প্রচণ্ড সংঘাতে ভাঙনের মুখে দল, পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপালে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে চিন]
এপ্রসঙ্গে তুরস্কের পরিবহণ ও পরিকাঠামো মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলগ্লু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সদস্য ১০টি দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে। সমুদ্রপথে যা সময় লাগে তার থেকে কম সময়ে পৌঁছনোর জন্য রেলপথ বা সড়কপথ তৈরিতেই নজর দেওয়া হচ্ছিল। ২০০৯ সালে তুরস্ক থেকে ইরান হয়ে পাকিস্তান যাওয়ার পণ্যবাহী ট্রেনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি হওয়া বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে।