সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে খতম পাকিস্তানি হানাদার। সীমান্তরক্ষীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও এক অনুপ্রবেশকারী। মঙ্গলবার অতন্দ্র সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতায় ফের ভেস্তে গেল ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতার ছক।
সংবাদমাধ্যমে বিএসএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে এক সন্দেহভাজন পাকিস্তানি। তাকে বারবার থামতে বলা হলেও সে থামেনি। অত্যন্ত দ্রুত কাঁটাতারের দিকে এগিয়ে এপারে প্রবেশের চেষ্টা করে সে। তখনই গুলি চালান জওয়ানরা। খতম হয় ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মুর আরনিয়া সেক্টরে। এদিকে, সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে আরও এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ: নাশকতায় ISIS যোগ, বাড়িতেই বিস্ফোরক বানাত ধৃত]
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বারামুল্লার এক সভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, কাশ্মীরকে পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত করাই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য যদি বারামুল্লার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তাতে তিনি রাজি। কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে কথা বলতে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা নয়।
প্রসঙ্গতো, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে সরব হন শাহবাজ শরিফ। ভারতের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও একতরফা বলে তোপ দেগেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পালটা, পড়শি দেশটিকে ‘সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা’ বলে তোপ দাগে ভারত। বলে রাখা ভাল, জম্মু ও কাশ্মীরে লাগাতার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে আইএসআই। পালটা অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) হত্যাকারীদের খতম করে জেহাদিদের কোমর ভেঙে দিয়েছে সেনাবাহিনী। নয়াদিল্লিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।