সুদীপ রায়চৌধুরী: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এক কোম্পানি করে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর জরুরি বৈঠকে তেমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেই মতো কেন্দ্রের কাছে আরজি জানানো হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, “নির্বাচন করা মানেই হিংসা করার লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া নয়।” বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, “অন্য রাজ্য থেকে তো পুলিশ চাইছে রাজ্য। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি কোথায়?” দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ নয়। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই।
[আরও পড়ুন: BJP প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান, রজনীগন্ধার মালা, বাংলায় ফিরছে বাম জমানার ভয়ঙ্কর দিন?]
শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের পরই কমিশন ঠিক করেছে, প্রতিটি জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হবে কেন্দ্রকে। স্পর্শকাতর এলাকায় সেই বাহিনী ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিশেষ বাহিনীও ব্যবহার করা হবে ভোটের কাজে। অর্থাৎ, রাজ্যের ২২ জেলায় সব মিলিয়ে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেই ২২ কোম্পানির মধ্যেই স্ট্রং রুম এবং স্পর্শকাতর এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে হাজার হাজার বুথ। বিভিন্ন এলাকায় হিংসার খবর। অথচ বাহিনীর সংখ্যা মাত্র ২২ কোম্পানি! ঠিক কীভাবে এত কম সংখ্যক বাহিনীতে ভোট করাতে চাইছে কমিশন? এ নিয়ে কমিশন সূত্র বলছে, পরবর্তীকালে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়াই অস্ত্রোপচার! রোগীর পা বাদ যাওয়ায় কাঠগড়ায় খাস কলকাতার ক্লিনিক]
এদিকে, মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সব মিলিয়ে মোট মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৪৮৭১টি। এর মধ্যে বিজেপি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে ১৫০৩টি। সিপিএম ১০০৬টি এবং কংগ্রেস ৩৮৩টি। তৃণমূল প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে ১১০৭টি এবং মোট ৬৭০ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।