সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে বারবার টার্গেট করা হয়েছে তাঁর দলকে। তিনি নীরব থেকেছেন। ভোটের দিনও ‘বিক্ষিপ্ত’ অশান্তির ঘটনাকে তুলে এনে নিশানা করা হয়েছে তৃণমূলকে। সেদিনও তিনি নীরব থেকেছেন। হয়তো তিনি অপেক্ষা করছিলেন গণদেবতার রায়ের জন্য। আর গণদেবতার রায় প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, বাংলার গণদেবতার হৃদয়ে যে তৃণমূলই সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল।
বস্তুত, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে রাজ্যের সব প্রান্তেই কার্যত ঘাসফুল ঝড় উঠতে চলেছে। পঞ্চায়েতের ফলে সম্মিলিত বিরোধীদের থেকে কয়েকশো যোজন এগিয়ে শাসকদল। উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা, যেগুলিতে তৃণমূল তথাকথিতভাবে দুর্বল ছিল, সেই এলাকাগুলিতেও এবার শাসকদলের ফলাফল অভূতপূর্ব। পঞ্চায়েত স্তরের এই ফলই ইঙ্গিত দিচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদেও ভাল ফল করবে শাসকদল।
[আরও পড়ুন: ‘মা-মাটি-মানুষের জয় মৃত্যুহীন হলেই ভাল হত’, দুঃখপ্রকাশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের]
রাজ্যজুড়ে সবুজ আবীরের আভার মধ্যেই গণদেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলছেন,”গ্রামবাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুন্ঠ ভালবাসা, এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা তৃণমূল পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করল বাংলার মানুষের হৃদয়ে আসীন তৃণমূলই।” তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন,”এই গণতান্ত্রিক রায়কে শিরোধার্য করে আমরা একসঙ্গে বাংলার অগ্রগতি এবং প্রগতির কাজ করব।”
[আরও পড়ুন: কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা মামলায় চাপে ব্রিজভূষণ, চার্জশিটে কড়া শাস্তির সুপারিশ]
আসলে পঞ্চায়েতের এই ফলে সার্বিকভাবে গোটা তৃণমূল শিবিরই উচ্ছ্বসিত। ভোটের আগে যেভাবে বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপির একটা ‘অঘোষিত জোট’ তৈরি হয়েছিল, সেটা যে দিনের শেষে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি, সেটাকেই নিজেদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসাবে দেখছে ঘাসফুল শিবির।