সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিসাব বলছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব মিলিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে আক্রান্ত সকলেই। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির তত্ত্ব কার্যত খারিজ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরাজ্যের শাসকদলের সাফ দাবি, মুষ্টিমেয় কয়েকটি বুথে অশান্তি হয়েছে ঠিকই তবে মোটের উপর উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। রাজ্যের মানুষ নির্বিঘ্নে তৃণমূলের পক্ষে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা দাবি করেছেন, ‘রাজ্যের ১৪টি জেলায় পুরোপুরি নির্বিঘ্নে এবং উৎসবের মেজাজে নির্বাচন হয়েছে। বাকি কয়েকটি জায়গায় কয়েকটি বুথে অশান্তির খবর এসেছে। আমরা একটা মৃত্যুও চাই না। কোনও মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু যা হিংসা হয়েছে তার বেশিরভাগেই আমাদের কর্মী আক্রান্ত।’
[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, বাস-গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৮]
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, “রাজ্যের ৬১ হাজার বুথ। সব মিলিয়ে ৭-৮টি বুথে মেজর ঝামেলা হয়েছে। আর বাকি কিছু বুথে পাড়ার ঝামেলা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ষাটের বেশি হবে না। বাকি ৬১ হাজার বুথে নির্বিঘ্ন, উৎসবের আমেজে ভোট হয়েছে।” কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘রাজ্যের বিরোধীরা আসলে হিংসার কারবার করতে চাইছে। বিজেপির (BJP) দুই ভাই, সিপিএম এবং কংগ্রেস (Congress), তাঁদের সঙ্গে আইএসএফ (ISF) ল্যাজুড় জুড়েছে। এরা কিছু কিছু জায়গায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে। হিংসার মার্কেটিং করছে বিরোধীরা। যাতে বাংলাকে বদনাম করা যায়। বাংলার নামে কুৎসা করা যায়।’
[আরও পড়ুন: মুখে প্রস্রাব কাণ্ড: বিজেপি নেতার মুক্তির দাবিতে সরব সেই আদিবাসী যুবকই]
ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদের দ্বিচারিতা নিয়ে। তিনি প্রশ্ন তুলছেন,”দিনহাটায় ব্যালট বাক্সে জল ঢালল কারা? বসিরহাটে ছাপ্পা মারল কারা? নদিয়ায় আমাদের কর্মীকে গুলি করল কারা? বিরোধীরাই সন্ত্রাস করেছে। আবার তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেছে। ওরা চোরকে বলছে চুরি করো। আবার গৃহস্থকে বলছে ধরো।” তৃণমূলের (TMC) সাফ বক্তব্য, রাজ্যকে গোটা দেশের কাছে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সম্মিলিতভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সেসব সত্ত্বেও মানুষ অবাধে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।