সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) অশান্তির সাক্ষী বাংলা। গুলি-বোমাবাজিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, ভোট হিংসায় প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয়লাভের পর বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলেন, “ভোট হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের পরিবারের জন্য দুঃখিত। আমি সমব্যথী। পুলিশকে ফ্রিহ্যান্ড দিচ্ছি। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিন। আমরা ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করছি। ভোট হিংসায় ১৯ জন মৃত। তার মধ্যে ১০-১২ জন আমাদেরই। ভোটের দিন ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন তৃণমূলের। বাকি ৩ অন্যান্যদের। আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ হবে না।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে কি ভাঙন ধরেছে? অন্য ব্যাখ্যা কুণালের]
বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তেই অশান্তি হয়েছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেন মমতা। বাংলার কোন কোন জায়গা ভোট সন্ত্রস্ত, সে ব্যাখ্যাও দেন। বলেন, “বিচ্ছিন্ন কটা ঘটনা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আমাদেরই একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে জানি তাঁর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও ঘটনা নেই। শীতলকুচি, চাকুলিয়ায় দু’টি ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। বাসন্তীতে একটা ঘটনা ছাড়া কিছু নেই। ঘটনা ঘটেছে মূলত ২টি জেলায়। ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে ২৩টি জেলার।” রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির আশায় রাজ্যের নামে কুৎসা বন্ধেরও আরজি জানান মুখ্যমন্ত্রী।