রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সদ্য মিটে যাওয়া রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) যথেষ্ট খারাপ ফলাফল হয়েছে বিজেপির। উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহলের শক্ত ঘাঁটিও খানিকটা দুর্বল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে কার্যত বোমা ফাটালেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রীতিমতো ধমকের সুরে কেন উওরবঙ্গ, ঝাড়গ্ৰামে ফলাফল খারাপ হল, তা জানতে চান। কর্মীদের মধ্যে লড়াই করার মানসিকাতা কম। তাই একটুতেই বুথ ছেড়ে চলে আসে। কে এদের সাহস দেবে?''
পঞ্চায়েত পর্যালোচনা বৈঠকে আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে পঞ্চায়েতে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আগমী ১৯ তারিখ কলকাতায় মহামিছিলে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। আর তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশের আগে বিজেপির এই মিছিল নিঃসন্দেহে অন্যরকম তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের আরও উজ্জীবিত করতেও পদক্ষেপ নিচ্ছে দল। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দলের বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জেলা নেতৃত্বের উপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলার জয়ীদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হবে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে সেচমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাচ্ছে বিশেষ দল, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
এই মুহূর্তে রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনের কাজকর্ম ঠিকমতো চালানোর জন্য ৪২টি সাংগঠনিক জেলা ছিল বিজেপির। এবার তা আরও বাড়ানো হল। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হতে না হতেই লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডারা আগস্ট থেকেই রাজ্যে প্রচারে আসবেন বলে খবর। এর মধ্যে ১৬ আগস্ট ১০০০টি সভা করা হবে দলের তরফে। মোদি সরকারের ৯ বছর উপলক্ষে প্রচারের জন্য এই কর্মসূচি। সাংগঠনিক বৈঠক সেরে বেরিয়ে এমনই জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
