বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্যে ৩০ শতাংশ বুথ ছেড়ে রেখেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি চালান হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই ৭০ শতাংশ বুথে লড়াইয়ের প্রস্তুতি চালান। আগেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু মনোনয়ন শেষে চিত্র খানিক উলটো।
বহু সংখ্যাগুরু বুথেও প্রার্থী দিতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। তারমধ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রাম, গোপীবল্লভপুরে দিলীপ ঘোষের নিজের বুথ বা সাংসদ সৌমিত্র খানের সংসদীয় এলাকা। বহু জায়গায় প্রার্থী না দিতে পারায় ক্ষুব্ধ অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। কেন প্রার্থী দেওয়া যায়নি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা তবল করল দিল্লি। সেইসঙ্গে যে সব বুথে প্রার্থী দেওয়া গিয়েছে তারমধ্য়ে কতো সংখ্যক বুথে কমিটি রয়েছে সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় ভাঙল রথের চাকা, প্রতিবাদে দাসপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ, জ্বলল টায়ার]
পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) যতো বেশি সংখ্যক বুথে প্রার্থী দিতে হবে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ পাঠায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লির নির্দেশ পেতেই কার্যত প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন শুভেন্দ, দিলীপ ও সুকান্তরা। শীর্ষ নেতৃত্বের নিজেদের সাংগাঠনিক ক্ষমতা জাহির করতেই এমন প্রতিযোগিতা বলে জানান এক রাজ্য নেতা। কিন্তু প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এমন অনেক বুথ বা আসন রয়েছে যেখানে প্রার্থী দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। যেমন শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামে ৬৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে। এরকম কয়েক হাজার বুথ রয়েছে যেখানে জনবিন্যাসে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সেই বুথ বা আসন ফাঁকা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এমনকী, রাজ্যের অনেক আদিবাসী এলাকাতেই প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাতেই চটে লাল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন এইসব বুথ বা আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি তা জানতে চেয়ে শীর্ষনেতৃত্ব রিপোর্ট তলব করেছে বলে সূত্রের খবর।
এখানেই শেষ নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বুথ সম্পর্ক অভিযানের মধ্য দিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও এই কর্মসূচিতে নামায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই যেখানে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়েছে সেখানে আদৌ বুথ কমিটি রয়েছে কি না তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বুথ কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি সেখানে কেন হয়নি সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।