সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রায় একমাস ধরে চড়কি পাকের পর খানিকটা স্বস্তি। তাই রবিবার ছুটির দিনে একেবারে 'রিলাক্সড মুডে' পুরুলিয়ায় শাসক-বিরোধী প্রার্থীরা।
জঙ্গলমহলের এই জেলার অধিকাংশ প্রার্থীরাই এ দিন বাড়িতে বসেই ভোট গণনার জন্য কর্মীদের নানান নির্দেশ দেন। বাড়িতেই দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুধুমাত্র স্ট্রং রুম যাওয়া ছাড়া প্রার্থীরা এদিন ঘরবন্দি-ই ছিলেন। শুধুমাত্র বিশ্রাম নেওয়ার জন্য! কারণ প্রচারের এক মাসের ধকল। সেই সঙ্গে ভোটের দিন যেভাবে সারাদিন ফোন নিয়ে কথা বলে যেতে হয়েছে তাতে একেবারেই ক্লান্ত প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: বাপরে বাপ! বাবার গলাতেই মালা দিলেন পাক তরুণী, বিয়ের কারণ জানলে অবাক হবেন]
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তথা জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাড়িতে বসেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ভোট গণনা সংক্রান্ত সব কাজগুলো করা হয়েছে।" বিদায়ী সহ-সভাধিপতি জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনের প্রার্থী প্রতিমা সরেন বলেন, "কেমন কী ভোট হয়েছে তা বাড়িতে বসেই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করছিলাম।" পুরুলিয়া মহিলা জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের তিন নম্বর আসনের প্রার্থী সুমিতা সিং মল্ল বলেন, "ভোট তো ভালোই হয়েছে। স্ট্রং রুম থেকে ঘুরে আসার পর এদিন আর বাড়ি থেকে বের হয়নি। রাতে ঘরে বসেই কাউন্টিং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। "
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেভাবে সময় না পাওয়ায় প্রার্থীদের একটু বেশি পরিশ্রম-ই করতে হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ২৪ নম্বর আসনের প্রার্থী বিবেক রাঙ্গা বলেন, "জেলা পরিষদের কয়েকটা আসনের খবর নিয়ে এদিন ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তবে পরিবারকে অনেকটাই সময় দিতে পেরেছি। বাড়িতে বসে গল্পগুজব হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: ভোটের কাজ করতে গিয়ে 'নিখোঁজ' ভোটকর্মী, থানায় মিসিং ডায়েরি করলেন স্ত্রী]
পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর সংসদ থেকে এবার কাকা- ভাইপোর লড়াই ছিল নজর কাকা। সেই ভাইপো তৃণমূলের মনোজ রেওয়ানির ভোটের দু'দিন আগে বিয়ে ছিল। লগ্ন মেনে ঠিক সময়ে বিয়ে হয়ে গিয়েছে বটে। কিন্তু নতুন বউকে সময় দিতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী মনোজ। তাঁর কথায়," যা অবস্থা যাচ্ছে সেটা আমি জানি। স্ত্রীর সঙ্গে ভালভাবে কথা পর্যন্ত বলতে পারিনি। রবিবার একটু সময় দিয়েছি এই যা।" নিতুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদবও এদিন বাড়িতে বসে ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটান। বাড়ি থেকেই গণনা সংক্রান্ত নানা কাজগুলো ফোনে-ফোনে সেরে নেন। তার কথায়, "এদিন একটু বিশ্রাম পাই। ছেলেদের সময় দিয়ে বাড়িতে বসেই ফোনে-ফোনে গণনা সংক্রান্ত কাজগুলো হয়েছে। "