রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুনর্নির্বাচনেও দেদার অশান্তি। জেলায় জেলায় ভাঙচুর, সংঘর্ষ, বুথ দখলের অভিযোগ উঠছে। গিয়েছে প্রাণও। গণতন্ত্রের মহৎ উৎসবে গণহত্যা হয়েছে বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটে চূড়ান্ত অভিযোগ করে কাঠগড়ায় তুললেন কমিশনারকে। মৃত্যুর দায় চাপালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও রাজীব সিনহার উপর। গণনায় অশান্তি করলে তৃণমূলকে পালটা মারার হুমকি দিলেন তিনি।
ভোট ও অশান্তি নিয়ে সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব সিনহার উদ্যোগে ৪১ জনের প্রাণ গেল। গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটল। আমরা অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তৃণমূলের দলদাস কমিশনার তা গ্রহণ করেনি।” ভোটে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি বলে এদিন ফের দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ ছিল। যা মানা হয়নি। শুভেন্দুর দাবি, কোন কোন বুথে ভোট লুঠ হয়েছে তার বিস্তারিত কমিশনের পাঠানো হয়েছিল বিজেপির তরফে কিন্তু সেই তালিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আগামিকাল ভোট বাতিলের দাবিতে আদালতে যাবেন বলেই জানালেন তিনি। এত মৃত্যু কেন? তা জানতে সিবিআই তদন্তের আরজি করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দৃষ্টিহীন সাজিয়ে বুথে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূলে ভোট! পুনর্নির্বাচনে সালারে তীব্র উত্তেজনা]
কোথাও ব্যালট জলে ফেলা হয়েছে। কোথাও বুথে দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। ছাপ্পা ধরতে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্তের কথাও বলেন তিনি। ব্যালটে যথাযথ সই না থাকলে ভোট বাতিল করতে হবে বলেই দাবি করেন শুভেন্দু। গণনা কর্মীদের ভয় না পাওয়ার কথা বলেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে নিজের ও অন্যান্য বিধায়কদের ফোন নম্বর দেবেন। এদিন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “উনি সরকার ও কমিশনের বিবেক জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন। আমরা বলব ৩৫৫ ধারা জারি হোক। গোটা রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে চাই ভোটে জিতে।” সব শেষে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামিকাল মারতে এলে মার খেতে হবে।”