নব্যেন্দু হাজরা: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজনৈতিক হিংসায় এখনও কারও মৃত্যু হয়নি বাংলায়। শনিবার রাতে এমনই তথ্য দিল রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তাঁদের দাবি, রাজ্য পুলিশের তরফে কোনও রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়নি। কমিশনের রিপোর্ট বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ৩৪টি। তবে বেসরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোনয়ন ও স্ক্রুটিনি পর্ব মিলিয়ে প্রাণ গিয়েছে ৭ জনের।
এদিন রাতে কমিশনের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত রাজনৈতিক ঘটনায় মৃতের সংখ্যা শূন্য। এখনও আহত হয়েছে ১০৪ জন। ১১টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বোমা মিলেছে ৭২টি। ভোটের বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশমন আরও জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ু থেকে বাহিনী আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: আবারও ঈশ্বরভক্তি! লন্ডনে কীর্তন শুনতে গেলেন বিরাট-অনুষ্কা, ঝড়ের বেগে ভাইরাল ভিডিও]
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) ঘিরে রাজ্যে বাড়ছে উত্তাপ। প্রথম প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদে। প্রাণ হারান কংগ্রেস কর্মী। তারপর একে একে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে ১ তৃণমূল কর্মী, ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূল মিলিয়ে ৩, চোপড়ায় এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মনোনয়ন ও স্ক্রুটিনি পর্ব মিলিয়ে বাংলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি রিপোর্টে এমনটাই দাবি। তবে এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে যোগ নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কমিশন। রাজ্য় পুলিশের তরফে এই রিপোর্ট তাদের দেওয়া হয়নি বলেও দাবি কমিশনের।