অর্ণব আইচ ও সুব্রত বিশ্বাস: প্রোডাকশন হাউসের অফিস থেকে উদ্ধার প্রযোজকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গল্ফগ্রিনের অরবিন্দনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পঙ্কজ দাস। বয়স ৫৮।
মৃত পঙ্কজ দাস পর্ণশ্রী থানার অন্তর্গত হোচি মিন সরণি এলাকার বাসিন্দা। একধিক সিনেমা ও সিরিয়ালের প্রযোজক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন বলেই খবর। যে অফিসে পঙ্কজ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সেটি অভিজিৎ পাণি নামের এক ব্যক্তির নামে ভাড়া নেওয়া। শোনা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে ওই ঘরটিতে প্রযোজনা সংস্থার অফিসটি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি, রাজের সঙ্গে পরকীয়া বিতর্কে রেগে লাল বিদ্যা সিনহা মিম]
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ অভিজিৎ পাণিই প্রথম পঙ্কজ দাসের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়েছিলেন ৫৮ বছরের ব্যক্তি। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। পঙ্কজ দাসের দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন পঙ্কজ দাস। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই পরিবারের থেকে আলাদা থাকতেন পঙ্কজ দাস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বৃহস্পতিবার রাতে নরেন্দ্রপুর এলাকার রেললাইনে পঙ্কজ দাস আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় অভিজিৎ পাণি তাঁকে বুঝিয়ে অফিসে ফিরে আসতে বলেন। অভিজিৎবাবুর কথামতো অফিসে ফিরে আসেন পঙ্কজ দাস। সকাল এগারোটা নাগাদও তাঁকে দেখতে পান অফিসের কর্মচারী। কিন্তু সোয়া বারোটা নাগাদ পঙ্কজবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অভিজিৎবাবু। মনে করা হচ্ছে, অর্থাভাবেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ৫৮ বছরের ব্যক্তি। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।