কোথায় তিনি আজকাল? পার্টিতে নেই। সিনেমাতে নেই। তাহলে কি একেবারে সাংসারিক হয়ে গেলেন পাওলি দাম? বললেন শম্পালী মৌলিককে৷
বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের এক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট এখন পাওলির ঠিকানা। সেদিন দুপুর বারোটার সময় স্নান-টান সেরে স্নিগ্ধ নায়িকা ধরা দিলেন। বিয়ের পর কলকাতায় এলে শ্বশুরবাড়ির এই ঠিকানাতেই অধিকাংশ সময় কাটান তিনি এখন। দীর্ঘদিনের পরিচারক ‘জিতেনদাদা’কে প্রথমেই চা আর কফির অর্ডার দিয়ে দিলেন। যেন কথোপকথন নিরবচ্ছিন্ন হয়। শর্ত দিলেন, কোনও ব্যক্তিগত প্রশ্ন নয়। শর্ত মানতে পারব কি না, না ভেবেই রেকর্ডার অন করলাম।
অনেকদিন পরে আবার কলকাতায়।
ঠিক অনেকদিন পরে নয় কিন্তু। যাতায়াত করি তো। যখন কাজ থাকে, কলকাতায় অাসি। এর আগে এক সপ্তাহ ছিলাম না কলকাতায় ঠিকই।
একটু বেশি কি গুয়াহাটি থাকা হচ্ছে?
না তো। ইন ফ্যাক্ট গুয়াহাটিতেও কম থাকছি। এর মধ্যে যেটা হয়েছে বলছি। ক্রিসমাস গেল। তার আগেই দুবাইয়ে ‘বঙ্গপ্রবাসী মিলাপ’ হয়েছিল, ওখানে গিয়েছিলাম। যেখানে আমার আপকামিং ফিল্ম ‘তৃতীয় অধ্যায়’-এর প্রথম প্রিমিয়ার হল। ফেস্টিভ্যালটা শেষ হতেই কলকাতায় চলে এলাম। কয়েকটা ইভেন্ট ছিল। ক্রিসমাস আর নিউ ইয়ারে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম দুবাইতেই আবার। বলতে পারো দুবাইয়েই বেশি থাকা হয়েছে এবার (হাসি)।
শপিং-টপিং করলেন?
খুব শপিং করিনি এবার। কারণ সেই সময়টাও পাইনি। আমার ইন ল’দের কিছু রিলেটিভ ওখানে থাকে। তাদের বাড়িতেই ছিলাম। ওই বছরের শেষে একটা গেট টুগেদার মতো হল। তখন আর শপিংয়ের চিন্তা মাথায় আসেনি। অল্পস্বল্প করেছি। এখন দুবাই বাড়িঘরের মতো হয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই যাওয়া হয়। ফিরে আবার কলকাতায় এলাম। অনেকদিন ছিলাম তখন। প্রায় তিন সপ্তাহ তো বটেই। থাকার পর এক সপ্তাহের জন্য গুয়াহাটি গিয়েছিলাম।
[‘মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি শেষ করে দিয়েছেন রহমান’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য অভিজিতের]
কলকাতায় তিন সপ্তাহ ছিলেন, কিন্তু কোথাও তো আপনাকে দেখাই যায়নি। কোনও পার্টিতে না!
শহরে থাকলেই কি পার্টিতে যেতে হবে নাকি! এ আবার কী! আমার নিজস্ব কাজও তো থাকতে পারে।
পাওলি কী তাহলে বিয়ের পর পালটে গেলেন?
নট অ্যাট অল (হাসি)। আমার মনে হয় না সেরকম কোনও ইম্পর্ট্যান্ট পার্টি ছিল, নয়তো নিশ্চয়ই যেতাম। সত্যি কথা বলতে কী, লাস্ট ইয়ার আমার ডিস্ক প্রোল্যাপ্স-এর জন্য প্রায় আড়াই মাস বেডরিডেন ছিলাম। কোনও এক্সারসাইজ করতে পারিনি। ডিপ্রেশনে প্রচুর খাওয়াদাওয়া শুরু করেছিলাম। একটু মোটাও হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় ওয়েব-এর ‘কালী’-র শুট করেছিলাম। সামহাউ, আমার ওই পুট অন-টা ‘কালী’-তে মানিয়ে গিয়েছিল। ব্যথা নিয়েও শুট করেছিলাম। তো তিন সপ্তাহ যে কলকাতায় ছিলাম, আমি এক্সারসাইজ করে কাটিয়েছি। রোগা হতে চেয়েছি। টার্গেট অ্যাচিভ করতে হবে (হাসি)। সেই জন্য পার্টিতে দেখা যায়নি।
বুঝলাম, কোমর কত করতে হবে? ২৬?
না, সেইরকম কোনও ব্যাপার না। ২৬ হলে তো আপনি যা খেতে চাইবেন খাওয়াব। (জোরে হাসি)
[করণের সঙ্গে বন্ধুত্বের ফল হতে পারে মারাত্মক! কেন জানেন?]
এবারে কী কাজ নিয়ে এসেছেন?
‘তৃতীয় অধ্যায়’-এর প্রোমোশন। ৮ ফেব্রুয়ারি ছবিটার রিলিজ। ভ্যালেন্টাইনস ডে টার্গেট করে। মনোজ মিশিগানের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। আবিরের সঙ্গে ‘বেডরুম’-এর পর এই ছবির জন্য আউটডোরে দেওঘর গেলাম আমরা। যেটা আবির সারাক্ষণ বলে-বেডরুম থেকে এতদিনে বাইরে বেরিয়েছি আমরা (হাসি)।
কী ধরনের ছবি ‘তৃতীয় অধ্যায়’?
মূলত প্রেমের ছবি। সেই কারণেই ভ্যালেন্টাইনস উইকটাকে সিলেক্ট করা হয়েছে রিলিজের জন্য। কিছুটা থ্রিলার এলিমেন্টও আছে। ছবিটায় অনেকগুলো চ্যাপ্টার আছে। এক একটা গল্পের মধ্যে অনেকগুলো স্তর আছে। অনেক টুইস্ট গল্পে।
প্রেমের ছবি তো করছেন, পাওলির জীবন থেকে কি প্রেম উবে গেল?
কেন এই অদ্ভুত প্রশ্ন! কী করে ভাবলেন?
এই কাজ, এক্সারসাইজ এসব নিয়েই তো বললেন! প্রেম কোথায়! কখন করছেন?
সেটারও সময় আছে। আমার তো লাভ ম্যারেজ, ভুলে গেলেন নাকি (হাসি)!
দাম্পত্যে বাঁধা পড়ে কি অন্য সম্পর্কগুলো হারিয়ে গেল?
না, বাঁধা পড়ার ব্যাপারটা কিন্তু মাইন্ডসেট। আমি কোনওদিনই টিপিক্যাল বন্ধনে বিশ্বাস করিনি। অফ কোর্স, একটা সম্পর্ক তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে মূলত যেটা কাজ করে-আন্ডারস্ট্যান্ডিং, রেসপেক্ট, ট্রাস্ট আর ভালবাসা। তার মানে এই নয় তখন বাকি সম্পর্ক উবে যাবে। আমার মনে হয় বিয়ের পর আমি বাকি সম্পর্কগুলো অনেক বেশি ম্যাচিওর্ডলি হ্যান্ডল করতে পারছি। রেসপনসিব্লি হ্যান্ডল করতে পারছি। সেন্স অফ রেসপনসিবিলিটি পরিবারের প্রতিও আছে। আগে শুধুই যেন ফিল্মের জন্য ছিল। ইন ফ্যাক্ট, আমার মা-বাবাকেও একসময় আমি সময় দিতে পারিনি। এক-দেড় ঘণ্টা সময়ও বসে গল্প করতে পারিনি। সেটা আমি বিয়ের থ্রু দিয়ে, অর্জুনের মাধ্যমে বুঝলাম। ওদের ফ্যামিলি বন্ডিং কী স্ট্রং! যত কাজ থাকুক, স্ট্রেস থাকুক, বন্ডিংটা দারুণ জোরালো। সেটাই থাকবে। আজকে আপনিই বলুন না, আমরা একটা কাজে বসেছি, আপনি আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। যে যার কাজ করছি। কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা কি শুধুই কাজে আবদ্ধ? সেটা নয় কিন্তু। ওই জায়গাটা আমি বিয়ের পর অনেক বেশি অনুভব করেছি।
[ছেচল্লিশেও আবেদনময়ী লিজা, ফাঁস করলেন গোপন কথা]
বুঝেছি। তাও জানতে ইচ্ছে করছে, বিয়ের পর কি আপনার অন্য পুরুষ বন্ধুদের মেসেজ-টেসেজ আসা কমে গিয়েছে?
আমার মনে হয়, তারাও রেসপনসিব্ল হয়ে গিয়েছে তাদের দিক থেকে। (হাসি)
‘আহারে মন’-এর পর তেমন ছবিতে তো পাওয়া গেল না আপনাকে।
কোথায়! লীনাদি-শৈবালদার ‘মাটি’ করলাম। তারপর ‘হলুদবনি’র শুটিং করলাম। প্রতিমের লেখার আমি ভক্ত। ‘মাছের ঝোল’ বা ‘আহারে মন’ দুটো ছবিতেই আমাকে এমন এমন চরিত্র দিয়েছে, সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব ওর প্রতি। ‘আহারে মন’ দেখার পর মনে হয়েছিল আমার রোলটা সবচেয়ে ছোট। বলেওছিলাম ওকে। ‘মাছের ঝোল’ ঋত্বিকের ছবি। সেখানেও ছোট্ট রোল আমার। প্রতিম বলেছিল, তোমাকে ওই রোল দেওয়ার কারণ চরিত্রগুলো স্ট্যান্ড আউট করবে। পরে দেখলাম দুটো চরিত্রই আলাদাভাবে দর্শকের চোখে পড়েছে।
কিন্তু ‘আহারে মন’ তো চলল না।
সত্যি জানি না এই ব্যাপারটা। বক্স অফিসটা ঠিক বুঝি না। অথচ এত ভাল ছবিটা। সব ক’টা গল্পই অসাধারণ ছিল। মে বি, আমার মনে হয় আরেকটু বেটার মার্কেটিং, প্রোমোশন হতে পারত, বেশি সংখ্যক থিয়েটার দরকার ছিল। হয়তো মানুষের কাছে ছবিটা সেভাবে পৌঁছয়নি। যারা দেখেছে তাদের খুবই ভাল লেগেছে। বিয়ের পর প্রথম শুট করেছি ‘আহারে মন’, তারপর ‘হলুদবনি’। ‘হলুদবনি’র আউটডোরে পরম আমাকে ‘কালী’ ওয়েব সিরিজের কথা বলে। করলাম, কারণ ভাল কনসেপ্ট আর করার ইচ্ছে ছিল। খুব ভাল ফিডব্যাকও পেয়েছি। দারুণ প্রোডাকশন ভ্যালু, কাজটা ভাল করেছে ওরা। ‘কালী’র আগে ‘কণ্ঠ’ শুট করেছি। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার পরিচালনায়। এই ছবিটা ড্রেন আউট করে নিয়েছিল। ‘কণ্ঠ’-র পরেই প্রতিমের ‘ইংক’-এর শুটিং করেছি। এই ছবিগুলো এই বছর রিলিজ হবে। ফলে সকলে জানে না। এবার ফেব্রুয়ারিতে ‘তৃতীয় অধ্যায়’, মে-তে ‘কন্ঠ’, তার পরে ‘ইংক’ আসবে, আর ‘কালী’-র সিজন টু হবে মোস্ট প্রোব্যাবলি। আর কত শুট করব (হাসি)!
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা অপর্ণা সেনের ছবিতে পাচ্ছি না কেন আপনাকে?
সেটা তো তাঁরা বলতে পারবেন। আমি তো অভিনেতা। আমাকে যে পরিচালক যোগাযোগ করবেন বা চাইবেন, আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করব, স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে। ইন ফ্যাক্ট, লীনাদি-শৈবালদার যে পরের ছবি, লীনাদিই আমাকে প্রথম ফোন করেছিল ‘সাঁঝবাতি’-র জন্য। যেটা অতনু রায়চৌধুরির ‘বেঙ্গল টকিজ’-এর প্রথম ছবি। ‘মাটি’-র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সৃজিতের যদি আমাকে প্রয়োজন হয়, নিশ্চয়ই ফোন করবে।
[‘সবচেয়ে কঠিন ছিল ওঁর মতো বক্তৃতা দেওয়া’, ঠাকরে সম্পর্কে মুখ খুললেন নওয়াজ]
আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে?
আমি জানি না। যদি উনি কখনও ভাবেন আমার কথা, নিশ্চয়ই বলবেন। আর রিনাদি তো ‘ঘরে বাইরে আজ’ করছেন এখন। ওঁর সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছে আমার, অনেকদিনের। পরিচালকের তো একটা ভিশন থাকে কাকে কোন চরিত্রে নেবে বা মানাবে। লেট’স সি। আমি ইনডিপেনডেন্টলি খুব ভাল আছি। যদি একটা গোটা বছরে পাঁচটা ভাল ছবি হয়, তার মধ্যে অন্তত দুটো ছবি আমার কাছে আসে, এটুকু বলতে পারি। ব্যস।
‘কণ্ঠ’-তে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
দারুণ অভিজ্ঞতা! আমার কল্পনাতে ছিল না, একটা চরিত্র তৈরি করতে গিয়ে, ওরা যেভাবে কাস্ট অ্যান্ড ক্রু নিয়ে ওয়ার্কশপ করে। অনবদ্য। আমার স্কুলিংটা তো অন্যভাবে শুরু হয়েছিল৷ গৌতমদা, বুদ্ধদা, ঋতুদার হাত ধরে। আমি একটু ওয়ার্কশপ পছন্দ করি। হুট করে লোকেশনে গিয়ে ডায়ালগ মুখস্থ বলাটা আমার অড লাগে। প্রস্তুতিটা দারুণ পেয়েছি নন্দিতাদি-শিবুদার থেকে। আর অ্যাক্টর শিবুদা তো অসাধারণ। আই থিংক হি ইজ দ্য বেস্ট অ্যাক্টর ইন টাউন অ্যাকচুয়ালি।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম মাথায় রেখেও বলবেন?
কৌশিকদা খুবই ভাল। তবু বলছি, ‘কণ্ঠ’ দেখার পর আপনি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে যাবেন।
‘কণ্ঠ’-তে জয়া আহসান আর আপনার টক্কর দেখতে পাব তো তাহলে?
সে তো জানি না। এটুকু বলব, অসাধারণ সিন দেখতে পাবেন। (হাসি) এত ভাল লিখেছে শিবুদা-নন্দিতাদি! ওদের ছবিতে প্রত্যেকটা চরিত্রর আলাদা স্পেস থাকে। লাস্ট ওদের ‘হামি’ দেখলাম। মেনস্ট্রিম বাংলা ছবি বলতে যা বোঝায় ওরা সেটাই করে। দারুণ বিষয় নির্বাচনও। সোশ্যালি রেলিভেন্ট। ছবিটা দেখতে অর্জুন আমার সঙ্গে গিয়েছিল, তখনই বলেছিল ব্লকবাস্টার হবে।
[চারুর চোখে অমল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে স্মৃতিচারণা মাধবীর]
আর ‘সাঁঝবাতি’-তে আপনি দেবের বিপরীতে?
হ্যাঁ। আমি এক্সাইটেড এই কারণে যে, মেনস্ট্রিম আর নন-মেনস্ট্রিম মিলে গেল। এই মুহূর্তে কলকাতায় বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এটা খুব প্রয়োজন। হিন্দিতে যেমন ‘অক্টোবর’ করেছে বরুণ ধাওয়ান। ‘অন্ধাধুন’ করল আয়ুষ্মান। ‘সঞ্জু’-তে ভিকি কৌশল। এখন সবাই সব ধরনের কাজ করতে চাইছে। ছবিটা ভাল হওয়া দরকার। তাহলে দর্শক নেবে, সে যে ধারারই অভিনেতা থাকুক না কেন। পরিচালকরা এখন অন্যভাবে ভাবছেন, সেটা আমাদের এখানেও আসছে এখন। আর ‘সাঁঝবাতি’ এককথায় ছকভাঙা সম্পর্কের গল্প। এই প্রথম অর্পিতাদির সঙ্গেও কাজ করব। সো অ্যাম ভেরি হ্যাপি অ্যান্ড এক্সাইটেড।
আর ইন্টারেস্টিং কিছু ঘটছে?
কয়েকটা স্ক্রিপ্ট এসেছে, দেখছি। ভাল লাগলে করব।
এখন দাম্পত্য বেশি সময় দাবি করছে নাকি কাজ?
এইটা একটা ট্রিক। এইখানে ব্যালেন্সিং অ্যাক্টটা জানতে হয়। ‘টোপ’-এর মতো (হাসি)। আমার মনে হয় দুটোই ডিমান্ড করছে। আগে শুধু কাজের কথা ভাবতাম, এখন সম্পর্কও আছে। শুধু দাম্পত্য তো নয়, এটা পরিবার। আমার বাবা-মা আছে, আরও অনেকে আছে, তাদের
কথাও ভাবতে হয়। আই অ্যাম এনজয়িং দিস ফেজ। কাজও আছে। বাড়িও সামলাতে হয়। অনেক বেশি দায়িত্ব।
[‘উরি’-তে কীভাবে ভিভান সিং শেরগিল হয়ে উঠলেন ভিকি?]
অর্জুন আপনার ছবি আপনার সঙ্গে হলে গিয়ে দ্যাখেন?
হ্যাঁ, ‘আহারে মন’-ই দেখেছে। ভীষণ ভাল লেগেছে ওর। ও ভাল সিনেমা ভালবাসে। ও-ই আমাকে আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত-র ‘জোনাকি’-র ট্রেলার দেখে জানিয়েছিল। বলেছিল, ‘ইউ মাস্ট ওয়ার্ক উইথ দিস ডিরেক্টর।’ মিডিওক্রিটির বাইরে গিয়ে ভাবার কথা বলে ও।
অন্য নায়কের সঙ্গে পাওলির ঘনিষ্ঠ দৃশ্য খোলা মনে নিতে পারেন অর্জুন?
আমাদের মধ্যে সেরকম কোনও কথা হয়নি কখনও। যে ওর অস্বস্তি হয় কি না। যেমন ‘টোপ’ দেখে ওর খুব ভাল লেগেছিল। সেটা কিন্তু বিয়ের পরেই। আমার মনে হয় না ও সেরকমভাবে চিন্তা করে। ভাল কাজে ইন্সপায়ার করে। যদি কোনও চরিত্র তেমন কিছু ডিমান্ড করে, ও নিশ্চয়ই আমাকে এনকারেজ করে। ও তো ভাল সিনেমা-মিউজিক অ্যাপ্রিশিয়েট করে।
স্পেস দেন?
অফকোর্স। (হাসি) প্রথম সাক্ষাতেই ও বলেছিল, ওর ফার্স্ট লাভ গল্ফ। আর আমি বলেছিলাম, সিনেমা। বিয়ের পর একসঙ্গে থাকতে সবাই চায়। কিন্তু কাজের জন্য আমাদের দু’জনকেই প্রচুর ট্র্যাভেল করতে হয়। রিসেন্টলি ওর কাজে ও ভিয়েতনাম গেল। আমি কিন্তু যেতে পারিনি, ইচ্ছে হলেও। এই বোঝাপড়াটা আছে আমাদের (হাসি)। দু’জনেই দু’জনকে স্পেস দিই।
The post শহরে থাকলেও কেন কোনও পার্টিতে দেখা যায় না পাওলিকে? appeared first on Sangbad Pratidin.