কলহার মুখোপাধ্যায়: বেতন পরিকাঠামোর পূণর্গঠনের দাবি তুলে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি লিখলেন পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চে উপস্থিত ১২জন। বিধাননগর থেকে তা রবিবারই পোস্ট করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই চিঠি পৌঁছলে প্রশাসন ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে পারে বলেই আশা আন্দোলনকারীদের।
শনিবার পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ সিরিঞ্জ দিয়ে আঙুল থেকে রক্ত বের করে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উদ্দেশে চিঠি লেখেন। বাবার শেষকৃত্য সেরেই আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া চন্দ্রচূড় গঙ্গোপাধ্যায়ও শামিল ছিলেন এই কর্মযজ্ঞে। এছাড়াও প্রমিতা বাগচি, স্মার্ট মুখোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের রক্তে লেখা চিঠি পৌঁছবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এক একজন এক একধরনের দাবি জানিয়েছেন চিঠিতে। কেউ লিখেছেন ‘দিদি আমাদের বাঁচান’, তো কারও কাগজ লাল হয়েছে ‘ভাতা নয়, দিদি বেতন চাই’ বার্তায়। আবার কারও দাবি, ‘দিদি, বেতন কাঠামো দিন।’ ‘দিদি, আমার পরিবারকে রক্ষা করুন’ও লেখা রক্ত দিয়ে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির দরজা আর সবার জন্য খোলা নয়, শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন দিলীপ]
সল্টলেকে বিকাশভবনের অদূরে বিধাননগর মেলামাঠ সংলগ্ন ফুটপাতে দিনরাত ব্যাপী লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিতে বসেছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ এবং বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্য সরকারের এই দুই শ্রেণির শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। দুটি পৃথক মঞ্চ বানিয়ে সেখানে রাত কাটাচ্ছিলেন শিক্ষকরা। দ্বিতীয় কর্মসূচি শুরুর সাতদিন পর শেষ হয়। এখনও চলছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আন্দোলন। পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযোগ, সেখানে কোনও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। মহিলাদের অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অবস্থান মঞ্চে তীব্র জলাভাব। পানীয় জলটুকুও কিনে খেতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই করোনার সময় স্যানিটাইজেশনের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় শারীরিক নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছেন মঞ্চে অবস্থানকারী কয়েকশো পার্শ্বশিক্ষক এবং শিক্ষিকা।
নবান্ন অভিযান কর্মসূচি, অনশন, পুলিশি হেনস্তা অভিযোগ, অবস্থান বিক্ষোভের এসবের পর এবার নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের পক্ষ থেকে। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা।