সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম হলে সংস্কৃত পড়াতে পারবেন না! এ কেমন নিদান? বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাছাত্রীদের এই কটাক্ষের উপযুক্ত জবাব দিলেন অভিনেতা ও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল। মুসলিম প্রফেসরের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, “সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাষার কীসের সংঘাত?”
অবশ্য এই সংঘাত কয়েক দিনের নয়। দীর্ঘ ১২ দিন ধরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত পড়িয়ে আসছেন অধ্যাপক ফিরোজ খান। তাঁর ধর্ম যেহেতু ইসলাম, তাই তাঁর সংস্কৃত পড়ানো অনেকেই মেনে নিতে পারে না। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও বিক্ষোভ হয়েছে একাধিকবার। অখিল ভারতীয় বিদ্যা পরিষদের মতো সংগঠনও বারবার এই বিক্ষোভের সমর্থন করেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিভাগের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজননেও এনিয়ে বারবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন সংস্কৃত পড়ানোর সঙ্গে অধ্যাপক মুসলিম হওয়ার কী সম্পর্ক? এবার অভিনেতা পরেশ রাওয়ালও সমর্থন করলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপককে।
[ আরও পড়ুন: আইনি গেরোয় প্রযোজক আদিত্য চোপড়া, FIR দায়ের যশ রাজ ফিল্মসের বিরুদ্ধে ]
পরেশ রাওয়াল টুইট করেছেন, অধ্যাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে, তাতে তিনি রীতিমতো অবাক। সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাষার বিরোধ কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। এটি দ্রুত বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে অভিনেতা এও বলেছেন, এই যুক্তিতে চললে তো মহম্মদ রফির তো ভজন গাওয়া উচিত নয়। আর নৌশাদ সাহেবের সেই ভজনে সুরারোপ করাও উচিত হয়নি।
সপ্তাহ খানেক আগে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ফিরোজ খানকে সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার পাওয়া উচিত। সেই কারণেই ফিরোজ খানকে নিয়োগ করতে দ্বিধা করেনি তারা। যোগ্যতম প্রার্থী হিসেবেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
[ আরও পড়ুন: নতুন তোপসের সঙ্গে পরিচয় করালেন সৃজিত, কাস্টিং নিয়ে কটাক্ষ পরিচালককে ]
The post ধর্মের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক কী? মুসলিম অধ্যাপকের পাশে দাঁড়ালেন পরেশ রাওয়াল appeared first on Sangbad Pratidin.