সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা অলিম্পিক পদক রাতারাতি বদলে দেয় ক্রীড়াবিদের জীবন। স্বপ্নিল কুসলের (Swapnil Kusale) জীবন সেরকমই। নবছর ধরে সেন্ট্রাল রেলওয়ের কর্মী তিনি। প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময়ের চাকরিজীবনে পদোন্নতি ঘটেনি তাঁর। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্যারিসে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জেতার পরেই ছবিটা বদলে যায়। যে স্বপ্নিল কর্মস্থলে এতদিন ধরে ছিলেন অবহেলিত, একটা অলিম্পিক (Paris Olympics 2024) পদক জেতার পরে তাঁরই ডাবল প্রমোশন হল। সরাসরি অফিসার পজিশনে চলে গেলেন স্বপ্নিল।
২০১৫ সালে সেন্ট্রাল রেলওয়েতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার তিনি পদোন্নতির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অনুরোধ-উপরোধেও বরফ গলেনি। স্বপ্নিলের কোচ দীপালি দেশপাণ্ডে বলেন, ''অফিসের এহেন আচরণে খুবই হতাশ ছিল স্বপ্নিল। গত নবছর ধরে রেলের চাকরি করছে। কিন্তু ওর প্রমোশনের কথা কেউ কোনওদিন বলেননি।''
স্বপ্নিলের কোচের এহেন দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন সেন্ট্রাল রেলওয়ের সহকারী স্পোর্টস অফিসার রঞ্জিৎ মাহেশ্বরী। তিনি বলেছেন, ''জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশা রাখি দুদিনের মধ্যে ওর ডাবল প্রমোশন হবে।''
[আরও পড়ুন: ‘এবার রনজি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে বাংলা’, লক্ষ্মী স্যরের ড্রেসিংরুমে গিয়ে পেপটক শামির]
প্যারিসে পদকজয়ের পরেই খবর এসেছে স্বপ্নিলের ডাবল প্রমোশন হয়েছে। ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার থেকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি হয়েছেন স্বপ্নিল।
এদিকে পদকজয়ী শুটারের কোচ জানিয়েছেন, তাঁর প্রমোশনের ফাইলগুলো তৎপরতার সঙ্গে পাঠানোর জন্য স্বপ্নিলকে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্যারিসে রওনা হওয়ার আগে ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য অফিস যেতে পারেননি স্বপ্নিল। স্বপ্নিল পদক জেতার পরে সেন্ট্রাল রেলওয়ে তাঁর প্রমোশনের জন্য নির্দেশিকা পাঠায়। অফিসে স্বপ্নিলের বন্ধুরা জানান, অফিসের সিনিয়ররা স্বপ্নিলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বপ্নিলের এক সহকর্মী বলেছেন, ''পদোন্নতির কথা বললেই ওর সিনিয়ররা খারাপ ব্যবহার করত। আহত হত স্বপ্নিল।''
কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে বদলে যায় ছবিটা। অফিসে স্বপ্নিল কুসলের অবহেলার কাহিনি প্রকাশ্যে আসে। আর ব্রোঞ্জ ঘরে তুলে দেশকে সম্মানিত করার পরে এক লাফে ডাবল প্রমোশন হয় তাঁর।