সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley) এবং প্যাংগং (Pangong) হ্রদ। গত বছর থেকেই চিন-ভারতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে। গালওয়ানে হাতাহাতিতেও জড়িয়েছিল দু’দেশের সেনা। তবে বর্তমানে আলোচনার পর দু’দেশই সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং হ্রদ পরিদর্শনে যেতে চায় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটি। সম্প্রতি কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানানো হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে মোট ৩০ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়ানড়ের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে কমিটির প্রধান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল রাম। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকেও বসেছিল এই কমিটি। সেখানেই নাকি ঠিক হয়েছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং হ্রদ পরিদর্শনে যাবে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটি। তবে সেই বৈঠকে আবার উপস্থিত ছিলেন না রাহুল। তাই তিনিও ওই দলের সঙ্গে যাবেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: সন্তান জন্মের আগেও সেরেছেন বৈঠক, ‘কাজপাগল’ জয়পুরের মেয়রকে কুর্নিশ নেটিজেনদের]
এদিকে, বর্তমানে প্রায় ৯ দফা আলোচনার পর দু’দেশই ওই এলাকার ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। এমনকী এই প্রসঙ্গে সংসদে বক্তব্যও রেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংসদে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা (China) আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে দুই দেশের সম্পর্কও প্রভাবিত হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের। চিনকে সাফ জানানো হয়, আলোচনার মাধ্যমেই সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে। লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে প্রচুর পরিমাণে সেনা ও হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে লালফৌজ। এই নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বেজিংকে জানানো হয়েছে একতরফাভাবে সীমান্তের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলেই সীমান্তে সমরসজ্জা কমানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষই রাজি হয়েছে। সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে সেনা বহর কমানো হচ্ছে।