সুব্রত বিশ্বাস: করোনাকে রুখতে প্রাথমিকভাবে দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। লোকাল ট্রেন বন্ধ হতেই শুনশান হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন। এই পরিস্থিতিতে দূরপাল্লার ট্রেন চললেও তাতেও যাত্রী সংখ্যা নগন্য। সংরক্ষিত টিকিট বাতিল করছেন যাত্রীরা।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে লকডাউন। অসম, বাংলায় আংশিক লকডাউন (Lockdown)। ফলে যাত্রী হচ্ছে না ট্রেনে। পনেরো জোড়া ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেল। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল সিসিএম দেশের প্রতিটি জোনের সিসিএমদের নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের ট্রেনগুলিতে আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকতে হবে। এজন্য বিভিন্ন জোনকে বলা হয়েছে, কোন ট্রেনগুলি পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে তা দেখে যাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল চেকিং করতে হবে যাত্রীদের। সচেতন করতে সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতেও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার কিষাণ নিধির টাকা দিক কেন্দ্র, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফের মোদিকে চিঠি মমতার]
রেলকে কঠোর হতে বললেও, এদিন রাজ্যের তরফে হাওড়া ও শিয়ালদহে কাউকেই দেখা যায়নি, যারা কি না বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখবেন। স্টেশনগুলো কার্যত ফাঁকা থাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ জোর ছিল না। হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা জানান, রাজ্য জানিয়েছে চেকিং হবে। বুধবার দুপুরে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণার বারো ঘন্টার মধ্যে সব ব্যবস্থা করার মতো লোকবল না থাকায় প্রথম দিনই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে প্রশাসনের মত। এদিন শুধু রেলকর্মীদের জন্য লোকাল ট্রেন চলেছে। সেই ট্রেনে অ-রেলকর্মীদের চড়া মানা হলেও তা দেখার মতো ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে অসন্তুষ্ট রেলকর্মীরাই।
রেলে চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতিতে বহু রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেই কর্মী সংগঠনের অভিযোগ। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দশ জন রেলকর্মী মারা যান বিআর সিং হাসপাতালে। পালমোলজিস্ট নেই। একজন ছিলেন তিনিও আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে। বুকে সংক্রমণ হওয়ায় এদিন শিয়ালদহের এক গার্ডের মৃত্যু হয়েছে। অন্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে না চিকিৎসকের অভাবে, এমনই অভিযোগ।