সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া নয়, দক্ষিণ পূর্ব রেল স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন (Staff special trains) চালাচ্ছে দাশনগর পর্যন্ত। দাশনগর থেকে হাওড়ার দূরত্ব আরও ২টি স্টেশন। ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অসংখ্য যাত্রীকে। কারণ, যাঁরা ট্রেনে উঠছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই গন্তব্য হাওড়া। এঁদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণ মাথায় নিয়েই লাইন ভেঙে দাশনগর থেকে হাওড়া আসতে দেখা গেল বহু যাত্রীকে। ছিলেন রেলকর্মীরাও। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলা সত্ত্বেও এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তাঁরা।
বৃহস্পতিবার এভাবে রেলপথ পেরিয়ে হাওড়া (Howrah) পর্যন্ত আসার পর তাঁদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রেল, ব্যাংক, স্বাস্থ্য, পুলিশ, বিএসএনএল, আদালত, সাংবাদিক – সকলেই একযোগে হাওড়ায় এসে আধিকারিকদের কাছে নালিশ জানান। হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন না চলায় তাঁদের প্রবল অসুবিধার কথা জানান। এতে অবশ্য তাঁদের কোনও সাহায্যের আশ্বাস দিতে পারেননি দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম। তিনি জানান, হাওড়া দক্ষিণ পূর্ব রেলের এলাকা নয়, ট্রেন চালানোর সুবিধার জন্য তা দাশনগর পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। ওই রেলকর্মীরা সাঁতরাগাছি, টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত কাজে আসেন। তাই তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে না। ফলে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চালানোর কোনও পরিকল্পনা রেলের আপাতত নেই।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় জমা জলে ফের বিপদ, জোকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এক যুবকের]
হাওড়া নতুন স্টেশনে বহু কর্মী রয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের, যাঁদের ওই পথ দিয়েই আসতে হয়। পাশাপাশি ট্রেনে অন্য বিভাগের কর্মীদের চড়ার অনুমতি দেওয়ায় বহু যাত্রী রয়েছেন যাঁরা হাওড়া দিয়ে যাতায়াত করছেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ”হাওড়ায় আমাদের কর্মী নেই। বহিরাগতদের জন্য রেল স্টাফ স্পেশ্যাল চালাচ্ছে না। রাজ্যের আবেদনে তাঁদের চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গন্তব্য পর্যন্ত ট্রেন চালাতে হবে, এমনটা নয়।” তা সত্ত্বেও অবশ্য একটি ট্রেনকে হাওড়া পর্যন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তা কাজে বিশেষ লাগছে না বলে হাওড়ার আধিকারিকদের দাবি। সবমিলিয়ে, স্টাফ স্পেশ্যাল নিয়ে সমস্যা এখনও মিটছে না।