সুব্রত বিশ্বাস: সকলের জন্য ট্রেন। যাত্রা রাখব কার? এই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে রেলের (Indian Railways)। ঘুম উড়লেও রেলের দায় নেই সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে। যাত্রীদের নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব যাত্রীদেরই নিতে হবে কবচ পরে। শিয়ালদহের (Sealdah) ডিআরএম এসপি সিংর কথায়, ”কাকে কীভাবে আটকানো যাবে? টিকিট কেটে সবাই ট্রেনে চড়বেন। এক ট্রেনে ৬০০ যাত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। তা কি মানবেন যাত্রীরা।” একটি ট্রেনে ১৪০০ যাত্রী চড়লেও ফাঁক থাকবে। তার বেশি হলে বিপদ সুনিশ্চিত। রেল এই সংখ্যা প্রকাশ না করলেও আশঙ্কা করছে। সেইমতো যাত্রীদের সচেতন করেই নির্ধারিত দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে। সিং বলেন, ”নিজের সুরক্ষা সম্পর্কে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে। কোন ট্রেনে কখন কীভাবে যাত্রা করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন সে ভাবনা ও দায়িত্ব যাত্রীর নিজের।”
রেল যাত্রী সচেতনতায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। হাওড়ার (Howrah) ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “সব স্টেশনের নানা জায়গায় কোভিড (COVID-19) বিধি মেনে যাত্রার কৌশলের বিষয়ে পোস্টার লাগানোর কাজ চলছে। যেখানে ভিডিও এড্রেস সিস্টেম রয়েছে সেখানে তা দেখানো হবে। যে স্টেশনে অডিও এড্রেস সিস্টেম রয়েছে সেখানে খালি ঘোষণা হবে সচেতনতার।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে সামান্য কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের নিরিখে ফের শীর্ষে কলকাতা]
ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয় জানিয়ে ফের রাজ্যকে রেল চিঠি দিয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪১৩টি, হাওড়া ডিভিশনে ২০২টি ট্রেনের তালিকা ও চলাচলের সময় জানিয়ে রাজ্যের কাছে তা মঞ্জুরের জন্য পাঠিয়েছে। সবুজ সংকেত পেয়ে সোমবার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবে রেল। মার্চের শেষে লকডাউন পর্বে যে যাত্রীদের মান্থলি সম্পূর্ণ হতে বাকি ছিল তাঁদের মান্থলি পুনর্নবিকরণ হবে। বেঁচে থাকা দিনগুলিতে তাঁরা যাত্রার সুযোগ পাবেন। এজন্য সোমবার থেকে নির্ধারিত কাউন্টারে গিয়ে তা পুনরায় নবিকরণ করতে হবে।
কোন রেল পুলিশ থানার আওতায় কতগুলি স্টেশন, ক’টা স্টেশনে কত পুলিশ দেওয়া যাবে, RPF কেমন স্টাফ দেবে, তা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে রেল পুলিশকে। শনিবার রেল পুলিশের কর্তারা বিভিন্ন বড় স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এদিন রেল পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, সব স্টেশনে ফোর্স দেওয়া সম্ভব নয়। অতিরিক্ত ভিড় যে স্টেশনে হয় সেখানে অফিসার দেওয়া হলেও কার্যত ছোট স্টেশনগুলিতে সিভিক পুলিশ দেওয়া হবে। পুলিশ মূলত বুকিং অফিস ও স্টেশনের ঢোকার মুখে থাকবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। বেগতিক দেখলে সেখানে যাবে বাড়তি ফোর্স।