অভিরূপ দাস: আয়ার মারে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কলকাতার (Kolkata) সরকারি হাসপাতালে। টালা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের দাবি, খাট থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে রোগীর। যদিও ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। অন্তর্তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
মৃত্ ব্যক্তির নাম গোপাল দাস। অটোর চালক ছিলেন তিনি। অটো চালানোর সময় গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন। বাঁ হাতের কনুইতেও চোট ছিল। বারাসতের হাসপাতালে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে জুলাই মাসে আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) এনে ভরতি করা হয়। সেখানে তাঁর বুকে এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, বুকে জল জমে গিয়েছে গোপালবাবুর। তারপর থেকে অর্থপেডিকের মেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের এক আয়া তাঁকে খুব বকাবকি করত। এমনকী, মারধরও করত।
[আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে আমজনতার জন্য চালু Metro, দিনে কতক্ষণ মিলবে পরিষেবা?]
মৃত গোপাল দাসের পরিবারের তরফে জানানো হয়, “তাঁকে খাবার পৌঁছে দিতে যেতাম আমরা। তখন ওঁ বলত, এক আয়া ওকে খুব মারধর করে।” বুধবার সকালে গোপালবাবুর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, আয়ার মারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ওই বিভাগে কর্মরত অন্যান্য আয়ারা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের কথায়, রাতে হয়তো খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাতেই গোপালবাবুর মৃত্যু হতে পারে। ঘটনা প্রসঙ্গে আরজি করের ডেপুটি সুপার সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, “পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনার অন্তর্তদন্ত করা হবে।” আরজি করের সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সকাল পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।