সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উড়ো ফোনের জেরে পাটনা বিমানবন্দরে ছড়াল বিস্ফোরণের আতঙ্ক। ফোনে বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়া হুমকি পেল পাটনা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ফোনটি আসে কলকাতা থেকে। মাঝরাতের ওই ফোন পাওয়ার পরই শুরু হয় তল্লাশি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বোমা বা অন্য কোনও বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনা রবিবার রাতের। পাটনার জয়প্রকাশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, পাটনা বিমানবন্দরে মজুত করা হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক। যে কোনও সময় উড়িয়ে দেওয়া হতে পারে গোটা বিমানবন্দরটি। ফোনটি আসার পর স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় বিমানবন্দরে। শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও স্নিফার ডগ দিয়ে গোটা বিমানবন্দরে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তল্লাশির পর কোনও বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত ওই হুমকি ফোনটিকে ভুয়ো বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
[ আরও পড়ুন: বায়ুসেনার বিমান অপহরণ করেছে ভিনগ্রহীরা, টিভি চ্যানেলের যুক্তিতে হতবাক নেটদুনিয়া ]
ফোনটি পাওয়ার পরই নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি বৈঠক করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে উপস্থিত ছিল পাটনা পুলিশও। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে কিনা, বা প্রয়োজন পড়লে কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব কোনও কাজেই আসেনি। কারণ তল্লাশির পর বিমানবন্দরের কোথাও কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে হুমকির জেরে বিমানবন্দরের কাজ অনেকটা পিছিয়ে যায়। বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়।
জানা গিয়েছে, পাটনা বিমানবন্দরে ফোনটি গিয়েছিল কলকাতা থেকে। কোনও এক ল্যান্ডলাইন থেকে ফোনটি করা হয়েছিল। যে ফোনটি করেছিল, সে প্রথমে নিজেকে সিআরপিএফ জওয়ান হিসেবে পরিচয় দেয়। বলে, হেডকোয়ার্টার থেকে ফোন করছে সে। নিজেকে আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান বলে দাবি করে ওই ব্যক্তি। কিন্তু পরে জানা যায়, সেটি একেবারেই ভুল তথ্য। পাটনা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ফোনটি ট্রেস করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই অপরাধী ধরা পড়বে। তবে ফোনের নেপথ্যে জঙ্গি যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই এখনও কড়া নজরদারি জারি রয়েছে পাটনা বিমানবন্দরে।
[ আরওপড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের ধর্ষণ ধর্ষণই নয়! আজব যুক্তি যোগীর মন্ত্রীর ]