রমেন দাস: ঠিক যেন নতুন জীবন! সোনার কাঠির ছোঁয়া নয়, চিকিৎসকদের অদম্য জেদের কাছে প্রায় হার মানল বিরল অসুখ! কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে (Peerless Hospital) এসে জীবন ফিরে পেল ৫ বছরের এক শিশু! ১ মাস ভেন্টিলেশনে কাটিয়ে নতুন আলোর পথে সে।
ঠিক কী হয়েছিল ওই বাচ্চাটির? ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, আচমকা স্কুল থেকে ফেরার পর অসুস্থ বোধ করে একরত্তি। সর্দি, কাশিতে ভুগতে ভুগতে তিন দিনের দিন প্রবল অসুস্থ হয় ওই নাবালিকা। এক প্রকার জ্ঞান হারায় সে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শুরু হয় চিকিৎসা। কোমায় আচ্ছন্ন অবস্থায় ভেন্টিলেশনে দিতে হয় ৫ বছরের বাচ্চাটিকে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, ওই শিশুটি বিরল রোগ 'অ্যাকিউট নেক্রোটাইজিং এনসেফালাইটিসে' আক্রান্ত। এরপর চিকিৎসার স্বার্থে আসে 'ট্রাকিওটমি'র ভূমিকাও।
অবশেষে মুশকিল আসান! প্রায় এক মাসের চেষ্টায় খানিকটা সুস্থ হয়েছে ওই শিশু। গড়িয়ার বাসিন্দার হাত-পা অবশ থাকলেও ক্রমশ ঠিক হচ্ছে সবটা। ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্ত বলছেন, ''অ্যাকিউট নেক্রোটাইজিং এনসেফালাইটিস ছোটখাটো ভাইরাল ইনফেকশনের পরে হানা দিতে পারে। যা ফুসফুস তো বটেই মস্তিষ্ককেও আঘাত করে। বহু ক্ষেত্রে নানান ক্ষতি সাধন হয় দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। এই বাচ্চাটির ক্ষেত্রে খুব কঠিন ছিল সবটা। কিন্তু এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনের সাহায্য ছাড়া অনেকটাই উন্নত হচ্ছে অবস্থা।'' যদিও চিকিৎসকদের এক অংশের দাবি, এই রোগে আক্রান্ত হবেন আপনার সন্তান, এমন ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, কিন্তু জ্বর-সর্দি, কাশি হোক অথবা যেকোনও অসুখ, সঠিক সময়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন ওঁরা।