সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছেলের ফোনে পেগাসাস। নজরদারি চালাচ্ছিল খোদ ইজরায়েলের পুলিশ। সম্প্রতি এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করেছে দেশটির এক সংবাদমাধ্যম। ফলে চাপের মুখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নাফতালি বেনেটের সরকার।
[আরও পড়ুন: Pegasus snooping row: বহুজাতিক স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলেছি কি আমরা?]
পেগাসাস নিয়ে সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘Calcalist’। সেখানে বলা হয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছেলে এভনের নেতানিয়াহুর মোবাইল ফোন ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিক ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিকটজনদের উপরও চলছিল নজরদারি। আর এই কাণ্ডকারখানা চালাচ্ছিল ইজরায়েলি পুলিশ। বলে রাখা ভাল, দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কিন্তু তা হলেও আদালতের নির্দেশ ছাড়াই বেআইনিভাবে তারউপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের।
উল্লেখ্য, পেগাসাস হচ্ছে ইজরায়েলি সংস্থা ‘NSO Group’-এর তৈরি একটি সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা যায় বা ফোন হ্যাক করা যায়। ফলে যে স্মার্টফোনটিকে নিশানা করা হয়েছে সেটির ভয়েস কল ও হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা-সহ সমস্ত তথ্য হামলাকারীর হাতে চলে যায়। এই কাজটি এতটাই গোপনে হয় যে ফোনটির ব্যবহারকারী আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতেই পারেন না। ফলে তাঁর অজান্তেই গোপন কথাবার্তা, তথ্য সমস্ত কিছু ফাঁস হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনে একটি লিংক পাঠায় হ্যাকার। সেটিতে ক্লিক করলে আপনা থেকেই ফোনে পেগাসাস ইনস্টল হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় আসল খেল। ওই ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারদের হাতে।
ভারতেও এনিয়ে চলছে তুমুল চাপানউতোর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, সাংবাদিক ও কুটনীতিবিদের এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নিশানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর ছেলের ফোনে পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নজরদারির অছিলায় কি ব্যক্তি পরিসরে ঢুকে পড়ছে সরকার?