সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেমন আছেন পেলে (Pele)? বিশ্বকাপের (World Cup 2022) নকআউট শুরুর দিনে এই নিয়েই চলছে বিস্তর নাটক। কখনও খবর মিলছে গুরুতর অসুস্থ ফুটবল সম্রাট। তাঁকে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ। কখনও আবার হাসপাতাল এবং পেলের পরিবারের তরফে জানানো হল, গুজবে কান দেবেন না। স্থিতিশীলই আছেন তিনি।
মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পেলেকে ভরতি করা হয় সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। তখন থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাড়ছিল উদ্বেগ। শনিবার খবর ছড়ায় হঠাৎ করেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে তাঁর। কেমোথেরাপিতে নাকি সাড়া দিচ্ছেন না তিন বিশ্বকাপ জয়ী মহাতারকা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের শেষ আটে আর্জেন্টিনা, মেসি ম্যাজিকে রচিত হল নয়া ইতিহাস]
মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় খবর। তিতে, ভিনিসিয়ায়, রিভাল্ডো থেকে শুরু করে এমবাপে, হ্যারি কেন। প্রত্যেকে ফুটবল সম্রাটের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা শুরু করে দিলেন। বাদ গেল না দোহার খলিফা স্টেডিয়ামের পাশে টর্চ টাওয়ারের এলইডি স্ক্রিন। তিতে বললেন, “দ্রুত সেরে উঠুন।” রিভাল্ডো আর ভিনিয়াস জুনিয়র আবার বলেছেন, “সর্বশক্তিমান আপনাকে আরও শক্তি দিন।” ফরাসি তারকা এমবাপে লিখলেন, ‘রাজার জন্য সবাই প্রার্থনা করি আমরা।’ সাংবাদিক সম্মেলনে হ্যারি কেন বললেন, “পেলে প্রতিটা ফুটবলারের অনুপ্রেরণা। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
গোটা দুনিয়া যখন পেলেকে কেন্দ্র করে উত্তাল, তখন আসরে নামলেন স্বয়ং ফুটবল সম্রাট স্বয়ং। সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন, ‘বন্ধুরা, আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই। আমি ঠিকই আছি, ডাক্তাররা যা বলছেন, করছি। আমি পুরো মেডিক্যাল টিমকে ধন্যবাদ দিতে চাই, ডাক্তারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আপনাদের ভালবাসা আমাকে শক্তি জোগায়। ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখছি আমি।’
[আরও পড়ুন: খাতায় কলমেই ‘ড্রাই স্টেট’! গুজরাটে দেদার মদ বিক্রি করে সরকারই]
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন ফুটবল সম্রাট। আগেও বেশ কয়েকবার তাঁকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়। কিন্তু কখনওই অবস্থার এতটা অবনতি হয়নি। এবার ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি হন পেলে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চলছিল। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকে ভাল সাড়াও মেলায় তাঁকে আইসিইউ-তে রাখার প্রয়োজন হয়নি। পেলেকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। শনিবার ব্রাজিলের এক সংবাদসংস্থায় দাবি করা হয়, পেলেকে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখানে তখনই রাখা হয়, যখন রোগীর শরীর চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। রোগীর যাতে কষ্ট না হয়। কিন্তু রাতের দিকে উলটো বার্তা দিলেন পেলে।