পিন্টু প্রধান: করোনা কেড়েছে রোজকার জীবনের ছন্দ। সারা বছরের মতো দুর্গাপুজোর মরশুমেও ঘরবন্দি ছিলেন রাজ্যবাসী। এবার তো বর্ষ বিদায়ের পালা। এখন করোনার প্রকোপও কিছুটা স্তিমিত। তাই কোভিডবিধি মেনেই নিউ নর্মাল জীবনে ফিরতে চাইছে রাজ্যবাসী।
উৎসবের মরশুমে উইকএন্ড শুরুর সকাল থেকেই পুরনো মেজাজ ময়দান, ভিক্টোরিয়া চত্বরে। সকাল-সকাল প্রাতঃভ্রমণে এসেছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ চুটিয়ে খেলেছেন ক্রিকেট । বেলা বাড়তেই ময়দানে জমা হয়েছে পিকনিক পার্টিরা। সবমিলিয়ে করোনার কুয়াশা কাটিয় যেন এক ঝলক রোদ!
[আরও পড়ুন : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত খাস কলকাতা, মারধর-ভাঙচুরের অভিযোগ দু’পক্ষেরই]
এর মাঝে আকাশ অবশ্য কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই একই পরিস্থিতি ছিল গোটা রাজ্যে। বেলা বাড়তে অবশ্য একটু রোদের দেখা মিলেছে শহরের কোথাও কোথাও। তাও যেন বিকেলের পড়ন্ত রোদ!
করোনা পরিস্থিতিতেও চোখে পড়ছে কলকাতার (Kolkata) সেই চেনা ছবি। ভিড় জমানো পিকনিক পার্টি। কোথাও কোথাও মনের মানুষের সঙ্গে হাত ধরে হেঁটে বেড়ানো। কোথাও আবার দল পাকিয়েছেন বন্ধু বান্ধবীরা। দিনভর একই ছবি ফুটে উঠল প্রিন্সেপঘাট থেকে ময়দান চত্বরে। ময়দানে দেখা মিলেছে বৃদ্ধ ঘোড়াদের। ভিড় দেখে খুশিতে চোখ চিকচিক করেছে ঘোড়ার মালিকদেরও। করোনা আবহে দীর্ঘদিন রোজগার বন্ধ ছিল তাঁদেরও। একই অবস্থা ওই চত্বরে থাকা দোকানিদেরও।
[আরও পড়ুন : জালিয়াতির আশঙ্কায় অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিতে নারাজ কলকাতা পুরসভা]
ময়দানে জল বিক্রেতা মহম্মদ জানান,”করোনার জেরে রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আনলক শুরু হলেও সেভাবে ভয়ে কেউ আগের মত সকালে আসছিল না। কিন্তু এই সপ্তাহের শুরু থেকেই আবার মানুষের জমায়েত দেখা যাচ্ছে এই মাঠে। আয় হচ্ছে।” কথায় আছে, যার শেষ ভাল, তার সব ভাল। মহামারীর বছরের শেষদিকে এসে ফের প্রাণোচ্ছলতা ফিরে পাচ্ছে তিলোত্তমা। নতুন বছরেও সমস্ত বাধা কাটিয়ে এই ধারাই বজায় থাকবে বলে আসা করছে শহরবাসী।
ছবি: পিন্টু প্রধান