শেখর চন্দ্র, আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে ফের ‘গরু চোর’ স্লোগান। এসএসকেএম হাসপাতালের পর শনিবার আবারও আসানসোলের ইসিএল গেস্ট হাউসের সামনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে লক্ষ্য করে ‘গরু চোর’ স্লোগান দেন আমজনতা। এদিকে, আসানসোল আদালতে পৌঁছনোর আগে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে জামিনের আবেদন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর।
শনিবার ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের করে তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ খারিজ করেন অনুব্রত। কোনও বেআইনি সম্পত্তি তাঁর নেই বলেও দাবি করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সড়কপথে আসানসোল বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মাঝে অনুব্রতকে ইসিএলের গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে রাধাকৃষ্ণের ‘অশ্লীল’ ছবি, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট আমাজন’]
ওই গেস্ট হাউস থেকে বেরনোর সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গরু চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে আদালতে পৌঁছন তিনি। সেখানেও অনুব্রতকে লক্ষ্য করে ‘গরু চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। পালটা ‘কেষ্ট মণ্ডল জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। অনুব্রত মণ্ডল আদালতে পৌঁছনোর আগে এদিন আসানসোলের ঘড়ির মোড়ে মাগুর মাছ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।
সেই সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিরোধীদের মুখোমুখি চলে আসেন। হাতাহাতিও শুরু হয়। তবে পুলিশি তৎপরতায় নিমেষেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। তবে সূত্রের খবর, আগামী চারদিন তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত অনুব্রতর যে সমস্ত সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেসব নথি আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত নথিপত্রও আদালতে জমা দেবে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের উৎসের খোঁজে তাঁকে আরও জেরার প্রয়োজন বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
দেখুন ভিডিও: