দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আমফানের দাপটের পর কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচদিন। তা সত্ত্বেও এখনও বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। মিলছে না জলের পরিষেবা। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। দুর্ভোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। বিদ্যুতের দাবিতে চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্যায় বহু মানুষ।
সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ করেন স্থানীয়রা। গাছের গুঁড়ি ফেলে একাধিক জায়গায় চলে পথ অবরোধ। তার ফলে ক্যানিং, বারুইপুর রোড পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। আবার কোথাও কোথাও রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ভাঙা গাছ এনে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে চলে এই অবরোধ। তাছাড়া ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তার দিয়ে রাস্তার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আর এর ফলে শুরু হয় যানজট। যানজটের ফলে আটকে পড়ে বহু মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে বচসাও বাঁধে স্থানীয়দের। উত্তেজিত জনতার ইটের ঘায়ে মাথাও ফাটে এক বিদ্যুৎকর্মীর। শুধু সোনারপুর, বারুইপুর নয় ক্যানিং থেকে কাকদ্বীপ সর্বত্র একই পরিস্থিতি। এছাড়াও সন্তোষপুর, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডেও অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পূর্বাভাস, ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গেও]
এই পরিস্থিতিতে যখন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা কোথাও কাজ করতে যাচ্ছেন তখন তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন স্থানীয় মানুষজন। প্রায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁদেরকে। না শুনলে চলছে হুমকি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সুকুমার সাহানি বলেন, “রাজ্যের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আমফানের তাণ্ডব চলেছে। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ দপ্তর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। অফিস থেকে বেরোনোর পর প্রতিটা রাস্তার মোড়ে মোড়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়িকে। এরপর তাদেরকে বুঝিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজে পৌঁছতে যথেষ্ট দেরি হয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে আবেদন এভাবে রাস্তায় গাড়ি আটকাবেন না। তাতে কাজে দ্রুত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি সময় লাগবে।”
The post আমফানের ৫ দিন পরেও মেলেনি বিদ্যুৎ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ জনতার appeared first on Sangbad Pratidin.