দূরের পথ এগোতে হলে প্রস্তুতিও তদনুরূপ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। বাজার আবহে একই লক্ষ্য হলে, তা সার্থক হতে পারে মিরে অ্যাসেটের নয়া ফ্লেক্সি ক্যাপের হাত ধরে। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
নিজের দীর্ঘকালীন লক্ষ্যপূরণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে বলছেন মিরে অ্যাসেট মিউচুয়াল ফান্ড কর্তৃপক্ষ। ১৭ই ফেব্রুয়ারি এনএফওটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় খুলবে ২৭শে। নতুন প্রস্তাবিত প্রোডাক্টিতে কোনও মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের প্রতি পক্ষপাত দেখানো হবে না, তার মানে সংশ্লিষ্ট ফান্ড ম্যানেজার নিজেকে মার্কেট ক্যাপ-সংক্রান্ত সীমারেখায় আটকে রাখবেন না। ফ্লেক্সি ক্যাপ, বলে রাখা ভাল, অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের প্রোডাক্ট। তবে বেশ কয়েকটি ফান্ড ইতিমধ্যেই বড় মাপের অ্যাসেট ম্যানেজ করছে। এগুলির মধ্যে মিরে অ্যাসেটকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে নিজের ফান্ডটি। এই মুহূর্তে ফান্ড হাউসটির সামনে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
ইনভেস্টররা ফ্লেক্সি ক্যাপে লগ্নি করে ঠিক কী ধরনের সুবিধা পান? লার্জ, মিড এবং স্মল ক্যাপ স্টকে তৈরি হয় এমন ফান্ডের পোর্টফোলিও। ফান্ড ম্যানেজার সাধারণত ‘ডাইনামিক’ কৌশল মেনে চলেন, কোনও সেক্টরের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতও দেখান না। নানা ধরনের লগ্নি করার ফলে ডাইভারসিফিকেশনে অসুবিধা হয় না। সব মিলিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের কোম্পানির শেয়ার দিয়ে গঠিত হয় সার্বিক হোল্ডিং।
[আরও পড়ুন: হঠাৎ বিপদে পড়েছেন? সম্পত্তির বিনিময়ে লোনই ভরসা, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলির মতে, নানা সময়ে আসা ফ্লেক্সি ক্যাপের (Flexi Cap) একটি বড় অংশ ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে ব্যাংক, অটো, ইনফোটেক, এনার্জি এবং কনজিউমার সেক্টরগুলিতে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা নিপ্পন ইন্ডিয়া ফ্লেক্সি ক্যাপের কথা বলতে পারি। পাঠক যেন এটিকে স্রেফ দৃষ্টান্ত হিসাবে নেন, কোনও বিশেষ কারণে এই নামটি আমরা বেছে নিচ্ছি না। সাম্প্রতিক পোর্টফোলিও অনুযায়ী, নিপ্পনের লগ্নি ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় এক ডজন বড় সেক্টরে করা হয়েছে। প্রধান স্টকগুলির মধ্যে আছে ICICI Bank, HDFC Bank, L&T, HDFC, Infosys এবং Reliance Industries। এগুলির উল্লেখ কোনও রকম বিশেষ ক্রমানুসারে করা হল না।
এই শ্রেণির ফান্ড, প্রসঙ্গত জানানো উচিত, যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সেবির অনুমোদিত রিস্কোমিটার অনুযায়ী, ‘ভেরি হাই’ রিস্ক শ্রেণীভূক্ত প্রোডাক্ট। বিনিয়োগকারীরা যেন এই কথাটি বিশেষভাবে মনে রাখেন। বেশিরভাগ ফান্ডে এককালীন লগ্নি করা যেতে পারে, এবং সিপ (SIP) করতেও অসুবিধা নেই। সিপ-এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে লগ্নি করলে মধ্যমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি তহবিল গঠন করা সম্ভব হবে। বহু পরামর্শদাতা তাই এই জাতীয় প্রোডাক্টে ধীরে ধীরে লগ্নি করায় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। ‘রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং’ করলে যে সুবিধাগুলি পাওয়া যায়, সেগুলির কথা ‘সঞ্চয়’-এর পাঠক নিশ্চয় জানেন। মিরে-এর ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতির ব্যতিক্রম না হওয়ারই কথা। তবে সময় দিতে হবে ইকুইটি মার্কেটে ভাল ফল লাভ করার জন্য, লগ্নিকারীরা যেন তা দিতে প্রস্তুত থাকেন।