shono
Advertisement

রিয়েল এস্টেট বাজারে নতুন লগ্নি করতে চান? রইল বিশেষজ্ঞের মতামত

বাড়ির কাছে আরশিনগর।
Posted: 04:32 PM Mar 12, 2022Updated: 04:32 PM Mar 12, 2022

রিয়েল এস্টেট বাজারে নতুন লগ্নি করতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্য সুখবর। রিটার্ন ভালই পেতে পারেন। ‘প্রপার্টি মার্কেট’ বর্তমানে যথেষ্ট স্থিতিশীল, তাই চরৈবেতি। জানালেন ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানি

Advertisement

 

প্র. রিয়েল এস্টেট মার্কেটের বাড়বৃদ্ধির সম্ভাবনা কেমন বুঝছেন?
আমাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, আমরা বুঝতে পারছি, বহু পরিবার প্রায় দু’বছর ধরে বাড়ির মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায় আছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজস্ব মাথা গোঁজার ঠাঁই সম্পর্কে আরও একবার সচেতন হয়ে উঠেছেন। এঁদের একাংশ ভাড়াবাড়ি থেকে নিজের বাসস্থানে উঠে এসেছেন। অন্যদিকে, জয়েন্ট ফ্যামিলি তথা যৌথ পরিবারের অনেকেই বড় বাড়ি বা নিজেদের অন্য বাড়ি খুঁজে নিয়ে পরিবারের সকলের জন্য সংস্থান করে দিতে চান। যাঁরা নতুন বা আরও ভাল বাড়ি-ঘর চান, তাঁরা লাইফস্টাইল বদলে ফেলতে আগ্রহী। এছাড়াও কিছু পরিবার পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসে নিজেদের ‘হোমটাউন’ বেছে নিতে চাইছেন। এদিকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বেশ চালু থাকার দরুন বাসস্থানের সঙ্গে ‘হোম অফিস’ও আজ চাহিদার মধ্যেই পড়েছে। সব মিলিয়ে নিজের বাড়ি থাকার উপযোগিতা সম্পর্কে এই সন্ধিক্ষণে মানুষ যথেষ্টই ওয়াকিবহাল।

প্র. যাঁরা রিয়েল এস্টেট বাজারে নতুন লগ্নি করতে চান, তাঁর কী ধরনের রিটার্ন পেতে পারেন?
রিটার্ন বেশ ভাল হবে বলে আশা রাখি। স্টক মার্কেটে কী ধরনের ভোলাটিলিটি রয়েছে তা তো জানেনই। সে তুলনায় প্রপার্টি মার্কেটে কিন্তু ‘স্টেবিলিটি’ বজায় আছে। বুলিয়ান বাজার দেখুন-সেখানেও অস্থিরতা যথেষ্ট। তাই লগ্নিকারীদের জন্য রিয়েল এস্টেট একটি যথাযোগ্য বিকল্প।

[আরও পড়ুন: অবসরের পর আর্থিক নিশ্চয়তা চান, অবশ্যই জেনে রাখুন এই তথ্যগুলি]

প্র. এই রাজ্যে টিয়ার টু মার্কেট নিয়ে কী ধারণা আপনার?
পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চাশ বছরে তেমন গ্রোথ দেখা যায়নি টিয়ার টু সেগমেন্টে। এই সমস্ত জায়গায় খুব একটা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ছিল না। আর এ তো জানাই আছে যে শিল্প না হলে, ‘জব ক্রিয়েশন’ তথা কর্মসংস্থান তৈরি না হলে, রিয়েল এস্টেট মার্কেটও বাড়বে না, শ্লথই থেকে যাবে। এই সরকারের শিল্পনীতির কারণে টিয়ার টু ও টিয়ার থ্রি-দুইই এগিয়ে যাবে, বলে বিশ্বাস করি।

প্র. এই রাজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কি কিছু উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই। কলকাতার কথাই ধরুন। দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতার শহরতলির সম্পর্কে বলতে চাই। দু’জায়গাতেই সম্ভাবনা প্রচুর। ইতিমধ্যেই মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের জন্য যানবাহনের পরিকাঠামোর আমরা যথেষ্ট উন্নতি দেখেছি। দমদম বিমানবন্দর ও আরও উত্তরে, সঙ্গে দক্ষিণ প্রান্তের বারুইপুর, সবই প্রতিশ্রুতিময়। মধ্যমগ্রাম এবং কল্যাণীও ভাল রকম বাড়বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেখাচ্ছে। নিউটাউন ও সংলগ্ন এলাকা সম্বন্ধে একই কথা বলতে পারি। অন্যদিকে ধুলাগড়ের ট্রানজিট ও লজিস্টিকস হাব আরও জমে উঠেছে। আবার দেউচার নতুন কোল ব্লক বেশ শিল্পের সহায়ক হয়ে উঠতে চলেছে। সব শেষে বলি, টুরিজম এই রাজ্যে এক প্রবল সম্ভাবনাময় শিল্পক্ষেত্র। সরকার এই বিষয়ে সজাগ। তাই অচিরেই হসপিটালিটি সেক্টর, বিশেষত হোটেলের পরিকাঠামো আরও উন্নত হয়ে উঠবে।

[আরও পড়ুন: সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্টে গড়ে তুলুন সুরক্ষিত ভবিষ্যত, রইল নিশ্চিন্ত জীবনের চাবিকাঠি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement